প্রতিনিধি পাবনা
![]() |
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের টারবাইনে বাষ্প সরবরাহকারী পাইপলাইনের ‘কোল্ড অ্যান্ড হট’ পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। পরীক্ষার পর টারবাইনে বাষ্প সরবরাহের জন্য পাইপলাইনগুলো কার্যকর বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে রাশিয়ার পরমাণু সংস্থা রোসাটম একটি বেসরকারি বার্তা সংস্থার মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। প্রকল্পে দুটি ইউনিটের প্রতিটিতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার আগে এ জাতীয় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে টারবাইন যন্ত্রপাতির নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়। দুই মেগাপ্যাসকেল চাপ ও ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় বাষ্পের সাহায্যে ব্লো-ডাউন প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করা হয়। নকশার চাহিদা অনুযায়ী প্যারামিটারগুলো নির্বাচন করা হয়। পাইপলাইনে কোনো ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ময়লা ও আবর্জনার কণা এবং আর্দ্রতা অবশিষ্ট থাকলে তা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পরীক্ষা চলাকালে বায়ুমণ্ডলে সবেগে বাষ্প নির্গত হওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ তৈরি হয়। বিষয়টি আগে থেকেই স্থানীয় জনগণকে জানানো হয়েছিল। পরবর্তী ধাপে বাষ্প সরবরাহকারী পাইপলাইনকে সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে অধিক পরিমাণ বাষ্প ব্যবহার করে এই ব্লো-ডাউন প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করা হবে। এতে কার্যক্রম চলাকালে যে লোড পড়বে, তার প্রায় কাছাকাছি লোডে যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরি জানান, এ গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি সম্পন্ন হওয়ায় রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু ও গ্রিডে যুক্ত হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সর্বাধুনিক রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরভিত্তিক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটটি আগামী কয়েক দশক ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে, যা বর্তমান চাহিদার মোটামুটি প্রায় ১০ শতাংশ।