{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রী হলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধার অভিযোগ ছাত্রদলের

প্রকাশঃ
অ+ অ-

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদে ‘মব’ সৃষ্টি করে নেতা–কর্মীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আবাসিক হলগুলোতে সব সংগঠনের জন্য সমান সুযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপির ছাত্রসংগঠনটির নেতারা।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতারা। সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মালিহা বিনতে খান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ঘটনায় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ডাকসু ও হল সংসদের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। সেটি সংবাদ সম্মেলনে পড়ে শোনান গণেশ চন্দ্র রায়। তাতে বলা হয়েছে, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাণের দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ ও নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের (সবার সমান সুযোগ) অভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্র ও শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নেতা–কর্মীকে যথা নিয়মে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র আরও বলেন, সাংগঠনিক নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা আজ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজ হল সংসদের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করতে গেলে ‘প্রশাসনের ভূমিকা’ পালন করা একদল শিক্ষার্থী মব সৃষ্টি করে তাঁদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে এবং মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অনুরোধে হলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা উপস্থিত হলেও তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

গণেশ চন্দ্র রায় সাহস আরও বলেন, এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ না নিতে পেরে হল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং এ ধরনের নৈরাজ্যবাদী মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনীহার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা এবং ডাকসু নির্বাচনের জন্য অত্যাবশ্যক ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’–এর অভাব যে কতটা প্রকট, তা আজ এই ন্যক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়েছে।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল। একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতা নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হলে এখনো ছাত্রলীগের অপরাধীরা অবস্থান করছে। তারা হলগুলোতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত ও বিরাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করছে। কিছু গুপ্ত সংগঠন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিলেমিশে হলের মধ্যে মব পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। আজকে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের মনোনয়নপত্র নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মালিহা বিনতে খান বলেন, ‘হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। আমি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে হলে যাই। সাধারণ শিক্ষার্থী নামধারী কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের বাধা দেয়। পরে হল প্রশাসনকে জানালেও তারা আমাদের কথা শোনেনি। শিক্ষার্থীরা মব সৃষ্টি করে আমাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে দেয়নি। গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন