চীনের ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিটে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের ৮ তরুণ
দেশের একদল তরুণ শিক্ষার্থী যাচ্ছেন চীন সফরে। তাঁদের চোখ-মুখে উচ্ছ্বাস, কৌতূহল আর অজানা এক অভিজ্ঞতার প্রতীক্ষা। কারণ, এই সফরে তাঁদের ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে। ফাইভ-জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস কিংবা স্মার্ট সিটি—এসব বিষয় এখন আর শুধু বই কিংবা ক্লাসরুমে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বাস্তবে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের এই তরুণেরা।
সুযোগটা এসেছে হুয়াওয়ে আয়োজিত বার্ষিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ২০২৫’ থেকে। প্রায় ৩ হাজার আবেদনকারীর কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষা, সাক্ষাৎকার এবং উপস্থাপনার কঠিন বাছাই শেষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৮ তরুণ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের সায়েদ আতিফ রায়হান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফারিসা জায়নাহ জামান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাফিম করিম খান, বুয়েটের মো. রেজওয়ান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসনিয়া ইফফাত, রুয়েটের মো. সাফিউস সিফাত এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নুফসাত ফারুক ও ওয়াসিফ উদ্দিন।
চীনে পৌঁছে তাঁরা যোগ দেবেন ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিটে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তরুণদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসবেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের বক্তৃতা শুনবেন, আলোচনা করবেন শিল্প খাতের নেতাদের সঙ্গে; একই সঙ্গে গড়ে তুলবেন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। শুধু প্রযুক্তি শেখাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তাঁদের সামনে খুলে যাবে ভিন্ন সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতার নতুন দিগন্ত।
প্রতিযোগিতা জেতা তাঁদের প্রথম জয়। আর এখন সামনে যে সফর, সেটি নতুন অভিজ্ঞতার এক দরজা। বাস্তব প্রশিক্ষণ আর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তাঁদের চোখ খুলে দেবে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের দিকে।
আয়োজনটি প্রসঙ্গে হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস তানভীর আহমেদ বলেন, ‘এমন একটি বৈশ্বিক আয়োজনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাঁদের অংশগ্রহণ এবং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজস্ব একটি অবস্থান তৈরি করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এ বছরের বিজয়ীরা আয়োজনের প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলবেন এবং বাংলাদেশের আইসিটি যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’
আন্তর্জাতিকভাবে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রোগ্রাম এরই মধ্যে ১৪১টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। এতে উপকৃত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আর বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে রয়েছে পাঁচ শতাধিক যৌথ কার্যক্রম। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের তরুণেরা আজ বৈশ্বিক মঞ্চে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছেন।
চীনে তাঁদের এই সফর শুধু একটি ভ্রমণই নয়, এ যেন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন