{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ: নিবন্ধন ফি ১০ হাজার টাকা, জেলাগুলোতে অসন্তোষ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বাস্কেটবল | প্রতীকী ছবি

একসময় নিজস্ব কোর্ট না থাকায় যাযাবরের মতো এদিক-ওদিক ঘুরে খেলতে হতো বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের। এখনো নির্দিষ্ট কোর্ট নেই। এরই মধ্যে আসন্ন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে দলগুলোকে ১০ হাজার টাকা নিবন্ধন ফি দেওয়ার নিয়ম নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলা পর্যায়ে।

আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। আয়োজক বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন এবার দলপ্রতি নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করেছে ১০ হাজার টাকা।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আতিকুল হাফিজ বললেন, ‘অনেক খরচ। তাই নিবন্ধন ফি বাড়াতে হয়েছে।’

কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংগঠকরা বলছেন, এই ফি তাদের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধন ফি আমাদের জন্য অনেক বেশি। আমি ইতোমধ্যে ফেডারেশনে চিঠি দিয়ে আপত্তি জানিয়েছি।’

তিনি যোগ করেন, ‘রাজশাহী কিংবা চট্টগ্রামের মতো বড় জেলার জন্য হয়তো এটা কিছুটা সম্ভব। কিন্তু অন্য জেলার অবস্থা কী হবে?’

পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সত্যিই আমাদের জন্য এটা বড় চাপ। নিবন্ধন ফি কমানো না হলে অনেক জেলা হয়তো খেলতেই পারবে না।’

বাস্কেটবলের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলছেন, আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে এক হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়া হতো না।

গাজীপুর জেলা দলের কোচ ও ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত চন্দ্র দাস বললেন, ‘আগে কখনোই ১০ হাজার টাকা দিতে হয়নি। এবার ফি অনেক বেশি হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোর্ট ভাড়া, রেফারির পারিশ্রমিক, বলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পুরস্কার অর্থ বাড়ানোয় খরচ বেড়েছে। এজন্যই ফি বাড়াতে হয়েছে।’

তিনি জানান, প্রথম বিভাগ লিগে চ্যাম্পিয়ন দলকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তহবিল ঠিকমতো না পেলে খেলাগুলো চালানো সম্ভব নয়। এছাড়া বৃষ্টির মৌসুম এড়িয়ে অক্টোবরে খেলা নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, যশোর ও রাজশাহীতে উন্মুক্ত মাঠে খেলা হবে। তাই খরচ বেশি পড়বে।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন