প্রতিনিধি বিরামপুর

দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌর শহরে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা বাবুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন   

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় চোর সন্দেহে বাবুল হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হাকিমপুর পৌর শহরের দক্ষিণ বাসুদেবপুর মালেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবুল হোসেনের বাড়ি পৌর শহরের চুড়িপট্টি এলাকায়। তিনি পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ বই বিক্রেতা ছিলেন। দক্ষিণ বাসুদেবপুর মালেপাড়া এলাকার রাব্বী হোসেনের বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ তুলে রাব্বী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। এ সময় বিজয় কুমার নামে বাবুলের এক সহযোগীকেও মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাব্বীর শাশুড়ি রিনা পারভীন (৫২) ও মামা জিয়া মণ্ডলকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর রাব্বী হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মিম আক্তার পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বাবুলের মা মমেনা খাতুন থানায় মামলা করবেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে মালেপাড়া এলাকার রাব্বী হোসেনের বাড়িতে টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এ ঘটনায় গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে চোর সন্দেহে বাবুল হোসেনকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান রাব্বী। পরে সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে রাত দুইটার দিকে বাবুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আজ সকাল নয়টার দিকে রাব্বী আবার বাবুল হোসেন ও তাঁর সহযোগী বিজয় কুমারকে ডেকে নিয়ে যান। পরে বাড়ির সাত থেকে আটজন মিলে চেলা কাঠ ও বিদ্যুতের তার দিয়ে মারধর করেন। এতে বাবুল হোসেন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বেলা একটার দিকে খবর পেয়ে বাবুল হোসেনের খালা পারুল বেগম বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাতে বলে চলে যায়।

বাবুলের সহযোগী বিজয় কুমার বলেন, আজ বিকেল চারটার দিকে বাবুল হোসেন পানি পান করতে চান। তখন রাব্বীর লোকজন বাবুলকে পানি দেন। পানি পান করার পরই বাবুল হোসেন মারা যান।

হাকিমপুর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, থানার এসআই অশ্বিনী কুমার বর্মণ ঘটনাস্থল থেকে আহত বাবুলকে উদ্ধার না করে সেখানে রেখে এসে ঠিক করেননি। এ কাজে তিনি দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।