প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিক্ষোভ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, ১২ জুলাই ২০২৫ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ ও একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য এলাকা ঘুরে প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারীবাজার, মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার হয়ে ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে ভবনের নিচতলায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ‘রগ কাটা রাজনীতি চলবে না’, ‘পাক–ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘চকবাজারে মানুষ মরে, ইন্টেরিম কী করে’, ‘এক দুই তিন চার, গুপ্ত রাজনীতি নিপাত যাক’সহ নানা স্লোগান দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীর পরিচয় শুধুই সন্ত্রাসী, এর কোনো দলীয় পরিচয় হতে পারে না। আমরা চকবাজারের ব্যবসায়ী হত্যা, খুলনার নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদপুরে এক খতিবকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই তিন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। দল কখনোই কোনো অপরাধীর পক্ষ নেয়নি—না অতীতে, না এখন, না ভবিষ্যতে নেবে। কোনো ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার দায়ভার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কখনোই বহন করবে না।’
ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘যারা রাজপথে থাকে না, তারা নানা অপকৌশলে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়। কিন্তু আমরা কোনো ধরনের অপকৌশলকে সমর্থন করি না। চকবাজারের সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের হতবাক করেছে। এটি আমাদের সবার বিবেককে নাড়া দিয়েছে—ঠিক যেমন নাড়া দিয়েছে খুলনার ঘটনা।’
শামসুল আরেফিন আরও বলেন, ‘খুলনায় একজনকে গোপনে হত্যা করে তাঁর রগ কাটা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারি, এ ধরনের কাজ পরাজিত কোনো ষড়যন্ত্রকারী শক্তিই করতে পারে। আমরা বলতে চাই, একটি মসজিদে যদি খবিতের খুতবা কারও ভালো না লাগে, আপনি মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন, অন্য মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন। কিন্তু তাঁকে (খতিবকে) হত্যার অধিকার বাংলাদেশ কাউকে দেয়নি।’
বিক্ষোভে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, নজরুল ইসলাম মামুন, মো. শাহরিয়ার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, নাহিয়ান বিন হক অনিক, রবিউল আউয়ালসহ অন্যান্য নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।