বিজয় মুর্মু রাজশাহী
১৮৫৫ সালের ঐতিহাসিক হুল বিদ্রোহে নিহত সাঁওতাল নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ঐতিহাসিক সাঁওতাল হুল বিদ্রোহের স্মরণে রাজশাহীতে আয়োজন করা হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার বিকেলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি প্রাঙ্গণে এই আয়োজন হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির পরিচালক হরেন্দ্র নাথ সিং। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম।
শুরুতেই ১৮৫৫ সালের বিদ্রোহের নিহত নেতাদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় নারীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙা প্রতিযোগিতা এবং ছেলেদের জন্য তীরন্দাজি।
প্রধান অতিথি ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশে আদিবাসীদের অবস্থা এখনো ভালো নয়। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। উন্নতির জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।'
তিনি আরও বলেন, '১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সাঁওতাল হুল ছিল উপমহাদেশে স্বাধীনতার ভিত্তি। এর ধারাবাহিকতায় ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ এবং ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে।'
আলোচনার একপর্যায়ে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি গণেশ মাঝি বলেন, 'আমরা যারা শিক্ষিত, তারা যদি নিজের অধিকারের বিষয়ে না জানি, তাহলে অন্যরা আমাদের পক্ষে কিছুই করবে না।' তিনি বাতিল হওয়া আদিবাসীদের ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে পুরস্কার বিতরণ করা হয় প্রতিযোগীদের মাঝে। এরপর একাডেমির শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে সাঁওতাল বীরদের স্মরণে গান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনও নিজেদের পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে উঠে।