প্রতিনিধি সিলেট
![]() |
সিলেটের জৈন্তাপুরে সেনাসদস্যদের ওপর হামলার মামলায় রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সিলেটের জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশীদসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার সকালে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামিরা। শুনানি শেষে বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তাঁদের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী (পিপি) আশিক উদ্দিন জানান, 'ভারতীয় চোরাই মহিষ আটকের ঘটনায় সেনা টহল দলের ওপর হামলার মামলায় অভিযুক্তরা এর আগে হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। হাইকোর্টের শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তাঁরা। কিন্তু বিচারক জামিন না দিয়ে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।'
ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ মার্চ গভীর রাতে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার এলাকায়। সেদিন সেনাবাহিনীর একটি দল সীমান্ত থেকে আটক করা ভারতীয় মহিষ ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। পথে একটি সংঘবদ্ধ দল ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন সেনাসদস্য আহত হন এবং বাহনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরদিন ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মতিন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। প্রথমে থানাপুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপর শ্যামপুর এলাকার আব্দুর রশীদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ (চানঘাট), হরিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ (দলইপাড়া), মুতলিব, আজিজুর রহমান ও ফখরুল ইসলাম (উত্তর বাঘেরখালেট), আমির উদ্দীন ও মাসুক (লামা শ্যামপুর), জহির উদ্দিন ও ইসমাইল আলী (উপর শ্যামপুর)।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। বিষয়টি দলের ভেতরে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’