নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
আরজিপিসিএল | ফাইল ছবি |
বঙ্গোপসাগরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে গত দুই দিন ধরে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) খালাস করা যাচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।
মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে (এফএসআরইউ) গ্যাসবাহী জাহাজ ভেড়াতে না পারায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
বুধবার রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গতকাল ও আজ মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনালে এলএনজি খালাস করা যায়নি। ফলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ অনেক কমে গেছে।
এর ফলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও তিতাস গ্যাসের আওতাভুক্ত এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে গেছে।
সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পেট্রোবাংলার এলএনজি শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, 'গত দুই দিন গ্যাস সরবরাহ প্রায় ২৫ কোটিঘনফুটে নেমে আসে। তবে আজ দুপুর নাগাদ সামিটের টার্মিনালে এবং বিকেল নাগাদ এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালে জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হতে পারে।'
পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সবশেষ ১৫ জুনের তথ্যে দেখা যায়, সেদিন প্রায় এক হাজার কোটিঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হয়েছিল। আর জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ হয়েছিল ২৮০০ কোটিঘনফুটের বেশি।
বর্তমানে দেশের নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে প্রতিদিন দুই হাজার কোটিঘনফুটেরও কম গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে। অথচ দেশের দৈনিক চাহিদা অন্তত ৩৮০০ কোটিঘনফুট।
ফলে চাহিদা ও জোগানের এই ব্যবধান পুষিয়ে নিতে সরকার বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে থাকে। তবে পরিবেশজনিত কারণে সেই আমদানির উপর নির্ভরশীলতাও অনেক সময় বিঘ্নিত হয়।