প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ ও ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের’(ডানে) পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতের হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে দুই পক্ষ। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ এবং দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে।
উসকানি দিয়ে বামপন্থীরা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে এক পক্ষ। অন্য পক্ষ ঘটনার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে বিচার দাবি করেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
আজ বেলা ১১টার দিকে পরিবহন মার্কেটে প্রথমে সংবাদ সম্মেলন করে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সংগঠক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মিশনের সভাপতি জি এ সাব্বির কথা বলেন। তিনি বলেন, গতকাল পরিবহন চত্বরে সবার উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ সংগঠক ও নেতারা। ঠিক তখন পেছন থেকে বাম সংগঠনের গুটিকয়েক মশালধারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার, জামায়াত-শিবির’ বলে বুলিং করেন। তাঁরা স্লোগান দিয়ে বারবার মশাল নিয়ে তাঁদের দিকে তেড়ে আসেন।
দুপুরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা ছাত্র গণমঞ্চের সভাপতি নাসিম সরকার। তিনি বলেন, ‘চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মশাল মিছিল ডাকে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। একই সময়ে ছাত্র শিবিরের একটি আনন্দ মিছিল পরিবহন মার্কেটে বামপন্থীদের আড্ডাস্থলকে ঘিরে বারবার প্রদক্ষিণ করতে থাকে। তাদের সমাবেশ শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিট পর মিছিল শুরু করি। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নওসাজ্জামান, ছাত্র মিশনের সভাপতি জি এ সাব্বিরসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আনুমানিক ২০০ জনের একটি মব আমাদের দিকে তেড়ে আসে। অতর্কিতে ইট-পাটকেল, চেয়ার ও লাঠি ছুড়ে মারতে শুরু করে।’