প্রতিনিধি পাবনা

মারামারি | প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহরের কলেজ রোডের বকুল মোড় এলাকায় চারটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্ব নিয়ে বকুল মোড়ে দলীয় কয়েকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই সংঘবদ্ধ একদল যুবক ওই এলাকায় হামলা চালায় এবং চারটি দোকানে ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী আহমেদ আলী বলেন, 'আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। আমাদের নিরীহ দোকানে কেন এই হামলা হলো? বিচার না হলে আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।' 

আরেক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, 'আমি তখন বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ খবর পাই, আমার দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। কারা করেছে, জানি না।' 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন  দাবি করেন, 'এটা কোনো দলীয় ঘটনা নয়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের আশ্রিতরা এই ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।' 

ঘটনার পরদিন বুধবার  বণিক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন জনি, ছাত্রদল নেতা নয়নসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের কিছু সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেন।

আনোয়ার হোসেন জনি বলেন, 'বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নেই। এটা পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে হেয় করার চেষ্টা।' 

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ. স ম আব্দুন নূর বলেন, 'একটি ছোট ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'