{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

ধাক্কাতে ধাক্কাতে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের বাইরে বের করে দিলেন সহকারী শিক্ষকেরা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি রাজশাহী

বাঘার মহদীপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে সহকারী শিক্ষকেরা মাঠের বাইরে বের করে দেন। সোমবার | ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে সহকারী শিক্ষকেরা মাঠের বাইরে বের করে দিচ্ছেন। রাজশাহীর এমন একটি ভিডিও আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঘা উপজেলার মহদীপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষকের নাম আব্দুল খালেক। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনাসহ নিয়োগ–বাণিজ্যর অভিযোগে এনে বিদ্যালয়ের ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাধাক্কি এবং তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীর লিখিত অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন ইউএনও। আগামী ৭ কর্মদিবসে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাতে ধাক্কাতে মাঠের বাইরে বের করে দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। টাকা নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। সেখানে ২৪ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। সেই টাকায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকারী শিক্ষকেরা। এতে প্রধান শিক্ষক রাজি না হলে সহকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। জাকির হোসেন দাবি করেন, ‘প্রধান শিক্ষক নিজে আমাকে মারপিট করেছেন।’

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, ‘সোমবার তারা একত্র হয়ে আমার গায়ে হাত দেয় এবং লাঞ্ছিত করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে। মুখের দাড়িও ছিঁড়ে নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল নৈশপ্রহরী আসাদুল ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী আবু জারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের লোকজনই তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন সহকারী শিক্ষকেরা অযৌক্তিকভাবে সেই টাকার দাবি করে উন্নয়নের কথা বলছেন। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না হলে তাঁরা সবাই একত্র হয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।’

বাঘার ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষককে ধাক্কাধাক্কি এবং তাঁর বিরুদ্ধে যে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী লিখিত অভিযোগ করেছেন, উভয় বিষয়েই তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ ফ ম হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন