বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন | ফাইল ছবি

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন এই রায় দেন। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

রায়ের বিষয়ে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, “শাহাদাত হোসেনের মামলার রায়ে তাকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে।” রায় ঘোষণার পর ডা. শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, “রায়ে নির্বাচন কমিশন সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করে আমাকে মেয়র পদে আসীন করার জন্য।”

অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে অপসারণ করেছে এবং ১৯ আগস্ট তার জায়গায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার।

মঙ্গলবারের রায়ের পর মেয়র পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, “যিনি মেয়র ছিলেন, তাকে গত আগস্ট মাসে অপসারণ করা হয়েছে। আজ ট্রাইব্যুনালের রায় হয়েছে। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়টি পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তবে রায়ের যেটুকু জানি, তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র পদে আসীন করতে হবে।”

২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শাহাদাত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা শাহাদাত ৯ জনকে বিবাদি করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের দিন কর্মকর্তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন, যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হওয়া ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা মামলায় রেজাউল করিম চৌধুরী, তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান এবং ওই ভোটের অন্য মেয়রপ্রার্থীসহ মোট নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।