[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহীতে প্রবেশনে থাকা ৩৫ শিশু মুক্তির সঙ্গে পেল ফুল-পতাকা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

আদালত | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি রাজশাহী: বিভিন্ন অপরাধের জন্য আদালত থেকে বই পড়া, বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো আচরণ করাসহ কিছু শর্তে প্রবেশনে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রবেশনে গিয়ে এসব শর্ত প্রতিপালনে সফল হওয়া রাজশাহীর ৩৫ শিশুকে আজ সোমবার মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

আদালতের পক্ষ থেকে মুক্তি পাওয়া শিশুদের ফুল ও জাতীয় পতাকা উপহার দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রবেশন কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর শিশু আদালত-২–এ ৩৫ শিশুর ৩৫টি মামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান শিশুদের চূড়ান্ত মুক্তি দেন।

শিশুরা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আদালতের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুন্নাহার মুক্তি ও জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রতিটি শিশুর হাতে একটি করে গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল তুলে দেন। এ ছাড়া তাদের একটি করে কাগজের জাতীয় পতাকা দেওয়া হয়। আদালতের এমন উপহার পেয়ে শিশুরা খুশি মনে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে।

জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিশু আইন-২০১৩ শিশুদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। এই আইনের ৪৮ ধারায় শিশুদের অপরাধের জন্য তাদের কারাগারে না পাঠিয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ আছে। এ আইনের ৩৭ ধারায় অভিযুক্ত শিশু ও অভিযোগকারী পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে প্রবেশন কর্মকর্তার। সে আইন অনুযায়ীই অভিযোগকারীর সঙ্গে শিশুদের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

আদালত এই শিশুদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মেয়াদে প্রবেশন দিয়েছিলেন। বাড়িতে থেকে তাদের বই পড়া, বাবা-মায়ের সঙ্গে সুন্দর আচরণ, একই অপরাধ আবার না করা কিংবা কোনো অপরাধে না জড়ানোসহ বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। প্রবেশন কর্মকর্তা দুই মাস পরপর তাদের কার্যক্রমের ওপর আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন। এমন তিনটি প্রতিবেদনের পর প্রবেশন কর্মকর্তা একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি করে শিশুদের চূড়ান্ত মুক্তি দেওয়া হলো।

জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আরও বলেন, এই শিশুদের মামলাগুলো আগে ছিল রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এ। সেই আদালত থেকেই তাদের প্রবেশন দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি রাজশাহীতে দুটিসহ সারা দেশে মোট ১১টি শিশু আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রবেশনে থাকা শিশুরা রাজশাহীর শিশু আদালত-২–এর মাধ্যমে চূড়ান্ত মুক্তি পেলেন। রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এই আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন