[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে বাড়তি বেতন না নেওয়ায় ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে ‌শোকজ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: বাড়ানো বেতন না নেওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর ক্ষুব্ধ হন প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন তিনি।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাঘইল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটলো এমন ঘটনা।  

জানা যায়, বিদ্যাপীঠটির শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন বাড়ানো হয়। এরপর সেই বর্ধিত অর্থ থেকে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয় ২০০ টাকা। কিন্তু গত জানুয়ারি থেকে শিক্ষকরা বাড়ানো ওই বেতন নিচ্ছেন না।  

এরপরই গত ২২ মার্চ তাদের শোকজ করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।

পরদিনই ২৩ মার্চ বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন নোটিশ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতির অনুমতি ছাড়াই প্রধান শিক্ষক ২০ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একযোগে এতজনের বিরুদ্ধে শোকজ দেখে তারা হতভম্ব হন। তবে কেউ সেই নোটিশ গ্রহণ করেননি।

তারা আরও জানান, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের বেতন মাথাপিছু ২০ টাকা হারে বাড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ালে শিক্ষকদেরও সম্মানীও বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের মতবিরোধ চলছিল। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকে শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্মানী ২০০ টাকা হারে বাড়ানো হয়। কিন্তু জানুয়ারি থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা তা গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাপে রাখতে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে বাদ রেখে বাকিদের শোকজ করেছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়নি। শুধু চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তারা বাড়ানো বেতন নিচ্ছেন না। তবে শিক্ষকরা সে চিঠি গ্রহণ না করে বিষয়টিকে এখন শোকজ বলে প্রচার করছেন।

পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া শিক্ষকদের এমন চিঠি দিতে পারেন কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম পরিচালনা পরিষদের আগামী বৈঠকের আগে যেন সঠিক কারণ তুলে ধরতে পারি। এজন্য সবাইকে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলেছি। সভাপতি বা অন্য সদস্যদের না জানিয়ে নিজ উদ্যোগে লিখিত চিঠি দেওয়া যদি নিয়ম বহির্ভূত হয়, তাহলে আমার ভুল হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন