হংসরাজ নদের ভাঙনে ক্রমশ বিলীন হচ্ছে সুন্দরবনের গাছ। ১০ সেপ্টেম্বর তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন ইমতিয়াজ উদ্দীন, কয়রা: সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত একাধিক নদীর তীব্র ভাঙনে দিনের পর দিন বিলীন হচ্ছে নদীপাড়ের বনের অংশ। ভাঙনে বড় বড় কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরীসহ বিভিন্ন গাছ প্রথমে মাটিসহ নদীতে দেবে যাচ্ছে। পরে জোয়ারের পানিতে গাছগুলো নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সুন্দরবন ঘুরে খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন শিবসা, মরজাত, আড়পাঙ্গাশিয়া, হংসরাজ নদের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এমন ভাঙনের চিত্র দেখা গেছে। আগের চেয়ে এ ভাঙনের মাত্রা বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় জেলের…
২০১৯ সাল থেকে খালাসির কাজ করছেন মো. আলম খান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন মানসুরা হোসাইন, ঢাকা: প্রথমে বালতিতে রং গুলিয়ে নিলেন মো. আলম খান (৩৫)। এরপর ট্রেনের একটি বগির যে যে জায়গার রং নষ্ট হয়েছে বা উঠে গেছে, সেসব জায়গা রঙের নিখুঁত পোঁচ দিলেন। রঙের কাজ শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে একটি ইঞ্জিনের স্ক্রু ঠিক করাসহ অন্য কাজেও হাত লাগালেন। কাজের এক ফাঁকে পকেট থেকে ছোট একটি মুঠোফোন বের করে মানিকগঞ্জে থাকা বাবার সঙ্গে কথা বললেন। অন্য কর্মীদের সঙ্গে আলম খানের পার্থক্য হলো, তাঁর দুই হাতের কনুইয়ের পর থেকে আর নেই। জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি। এরপরও আলম খান অ…
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে বেড়াতে এসে ছবি তুলছে তরুণী। মডেল: সিতিমা সরকার তৃণা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিল। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটিও। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে মানুষ আহসান মঞ্জিল দর্শনে যায়। সেখানে দেখা মেলে ভিনদেশিদেরও। নবাববাড়ি তো বটেই একসময় সেখানে বসবাসরত নবাব এবং তার উজির, নাজির সেনাপতিদের ব্যবহৃত পোশাক, ঢাল, তলোয়ার, কামানসহ বিভিন্ন অস্ত্র, থালা-বাসন, আসবাবপত্রসহ নানা রকম চোখ ধাঁধানো জিনিস রয়েছে আহসান মঞ্জিলে। কিন্তু দর্শনার্থীরা কতটুকু জানেন ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি স…
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কন্যা শেখ হাসিনা | ছবি: সংগৃহীত শেখ হাসিনা, রোড ৩২, ধানমন্ডি: তখনো ভোরের আলো ফোটেনি। দূরের মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে। এমন সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ। এ গোলাগুলির আওয়াজ ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি ঘিরে, যে বাড়িতে বসবাস করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এক বিঘা জমির ওপর খুবই সাধারণ মানের ছোট্ট একটা বাড়ি। মধ্যবিত্ত মানুষের মতোই সেখানে বসবাস করেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি সব সময়ই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। এই বাড়ি থেকেই ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শে…
লন্ডনে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, ১৯৮০ সালে রেহানার বাসার সামনে | ছবি: সংগৃহীত সরাফ আহমেদ: ১৫ আগস্ট ১৯৭৫, শুক্রবার। জার্মানির বনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ফোনে দুঃসংবাদ পেলেন, দেশে অভ্যুত্থান হয়েছে, বঙ্গবন্ধু আর নেই। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা তখনো অস্পষ্ট। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন ব্রাসেলসে, রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাড়িতে। এই খবর তাঁরা পাননি। পরদিন সকালেই সীমান্ত পেরিয়ে তাঁদের যেতে হবে জার্মানিতে, রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাসায়। এদিকে রটনা ছড়িয়ে পড়েছে, নিহত রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ …