[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহীতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় এক্সকাভেটরের নিচে ফেলে হত্যা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজশাহীর মোহনপুরে গতকাল বুধবার রাতে বড় পালশা গ্রামের মাঠে এক্সকাভেটরের নিচে পড়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহীর মোহনপুরে ধানক্ষেতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে এক্সকাভেটরের চাকার নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বড় পালশা গ্রামে ওই তরুণ নিহত হন।

নিহত আহমেদ জোবায়ের (২৩) উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বড় পালশা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ঘটনার পর রাতেই এক্সকাভেটরের চালক আবদুল হামিদকে আটক করে। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।

নিহত আহমেদ জোবায়ের | ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বড় পালশা গ্রামের সব জমি ধানক্ষেত। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে কেউ পুকুর খনন করেননি। হঠাৎ খবর আসে, গোপনে এক্সকাভেটর নামানো হয়েছে। মসজিদের মাইক থেকে মোয়াজ্জিন আবদুল মান্নান ঘোষণা করেন। তখন গ্রামের মানুষ মাঠের দিকে ছুটে যান। প্রথমে জোবায়েরসহ সাত থেকে আটজন পুকুর খননের প্রতিবাদ জানায়। তখন চালক আবদুল হামিদ দ্রুত এক্সকাভেটরের বাকেট ঘোরাতে থাকেন। এতে জোবায়ের মাটিতে পড়ে যান। চালক পালানোর চেষ্টা করেন, পরে জোবায়েরের ওপর দিয়ে এক্সকাভেটর চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর শতাধিক মানুষ মাঠে নেমে যান। তারা চালক হামিদকে আটক করে এক্সকাভেটরে আগুন ধরিয়ে দেন। পুকুর খননের উদ্যোক্তা ধুরইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান (বকুল) মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন। তোপের মুখে তিনি পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনে একজন বলেন, ‘এটি বকুলের ফোন নয়’।

এক্সকাভেটরের চাকার নিচে পড়ে নিহত হওয়ার পর এলাকার লোকজন মোটরসাইকেরে আগুন ধরিয়ে দেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বড় পালশা গ্রামের মাঠে দেখা যায়, আগুনে পোড়া মোটরসাইকেল ও এক্সকাভেটরের নিচে আগুন জ্বলছে। অসংখ্য মানুষ সেখানে উপস্থিত।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানিয়েছেন, চালক আবদুল হামিদকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন সরকার বলেন, ‘আনিসুজ্জামান পুকুর খননের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তিনি বিএনপির ইউনিয়ন কমিটিতে আছেন, তবে আওয়ামী লীগের ভোট দিয়েছেন। এখন আবার বিএনপির ক্ষমতা ব্যবহার করে ধানি জমিতে পুকুর খননে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঘটনার সঙ্গে যেভাবেই জড়িত থাকুক, তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন