[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পেঁয়াজের দাম কমেনি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
পেঁয়াজ | গ্রাফিক্স: পদ্মা ট্রিবিউন 

দুই সপ্তাহ আগে বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে যায়। এতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এরপর থেকে দাম আর কমেনি। আজও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষ। ফলে বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে, ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহও নেই। তাই দাম কমছে না।

এখন খুচরা বাজারে মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুর অঞ্চলের ছোট আকারের পেঁয়াজ কেজিতে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাবনা জেলার ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এবং পাবনার পেঁয়াজ ৯০ টাকায়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, আগারগাঁও তালতলা বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, এ বছর দেশের বাইরে থেকে খুব বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ফলে বাজার নির্ভর ছিল দেশি পেঁয়াজের ওপর। গত অক্টোবর পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো ছিল, কিন্তু নভেম্বরের শুরু থেকে কমে যায়। এতে দাম বেড়ে যায়। তাঁরা আরও জানান, ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে আগাম পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমতে পারে।

সাধারণত ডিসেম্বর মাসে নতুন মৌসুমের আগাম পেঁয়াজ, যাকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বলা হয়, বাজারে আসতে শুরু করে। এর আগে সরবরাহ কম থাকায় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দাম চড়া থাকে। গত বছরও এ সময় পেঁয়াজের দাম বেশি ছিল। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়।

চলতি বছরের আগস্ট মাসেও এক দফা পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তখন কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছিল। তার আগে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।

খুচরা বিক্রেতাদের ধারণা, ডিসেম্বর মাসে আগাম পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম কমবে। এর আগপর্যন্ত, বিশেষ করে নভেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকতে পারে।

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘এখন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেই। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহেও ঘাটতি আছে। ফলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানির অনুমতি প্রয়োজন। আমরা সরকারের কাছে অনুমতির আবেদন করেছি, কিন্তু এখনো পাইনি।’

পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ
প্রতিবছর পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ট্যারিফ কমিশন পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করে বাণিজ্যসচিব ও কৃষিসচিবকে চিঠি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।

বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত। মোট আমদানির ৯৯ শতাংশই আসে ভারত থেকে। এ ছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরে দেশে ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের ওপর মোট ১০ শতাংশ শুল্ককর রয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তবে সংরক্ষণের সমস্যা ও অন্যান্য কারণে এর একটি বড় অংশ নষ্ট হয়। তাই বাজারে এসেছে প্রায় ৩৩ লাখ টন পেঁয়াজ।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন