[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহীতে কোচিং সেন্টারে অস্ত্র-বিস্ফোরক উদ্ধার, তিন আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রাজশাহীতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার মোন্তাসেরুল আলম ওরফে অনিন্দ্য (৩৩) ও তাঁর দুই সহযোগী মো. রবিন (২৮) ও মো. ফয়সালের (৩০) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–২–এর বিচারক মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে আসামিদের হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোতালেব হোসেন। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করেছিল। আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় দুই সহযোগীসহ মোন্তাসেরুল আলমকে আটকের পর গতকাল শনিবার রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র–বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ মামলায় সবাইকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আসামি মোন্তাসেরুল আলম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিউল আলমের (লাট্টু) ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়। নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় বাড়ির পাশেই ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন মোন্তাসেরুল।

গতকাল ভোররাত থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ কোচিং সেন্টারে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। যৌথ অভিযানে দুই সহযোগীসহ অনিন্দ্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, সামরিক মানের দুরবিন, জিপিএস, স্নাইপার স্কোপ, দেশি অস্ত্র, বিদেশি ধারালো ড্যাগার, উন্নত মানের ওয়াকিটকি সেট, টিজারগান, অব্যবহৃত সিম কার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটার, দেশি–বিদেশি মদ ও নাইট্রোজেন কার্টিজ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনিন্দ্য ২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তাঁর নামে সন্ত্রাস দমন আইনে আরেকটি মামলা হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তিনি ওই দুটি মামলা থেকে রেহাই পান বলে অভিযোগ আছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন