প্রতিনিধি নেত্রকোনা ও জামালপুর

জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার গভীর রাত ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়।

গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে গত ৩ জুন গভীর রাতে ওই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ৩২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন হিজড়া ও ২ জন পুরুষ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা জেলায়।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কামরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল রাত দুইটার দিকে বিএসএফ ২১ জনকে পুশইন করেছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা ৬ মাস থেকে ১২ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন। বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএসএফ তাঁদের পুশইন করেছে। বর্তমানে তাঁদের বিজয়পুর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বকশীগঞ্জের উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে আজ সকালে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট, ফরিদপুর, খুলনা ও বরগুনা জেলায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে বকশীগঞ্জ-ভারতের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া বলেন, ‘বিএসএফ কিছু লোকজন আমাদের এলাকায় ঠেলে দেওয়ার খবর পাই। পরে আমরা ওই এলাকায় অবস্থান নিই। ওই সাতজন এলাকায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আটক করি। পরে পুলিশের কাছে তাঁদের সোপর্দ করেছি। ওই সাতজন কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।’

বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ওই সাতজনকে সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার পরই স্থানীয় গ্রামবাসী আটক করেন। পরে গ্রামবাসী তাঁদের থানায় সোপর্দ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।