প্রতিনিধি রংপুর

রংপুরের পীরগঞ্জে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা নেতাদের সংবাদ সম্মেলন।  বুধবার বিকেলে উপজেলা প্রেসক্লাবে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

রংপুরের পীরগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি গঠনের ২০ দিন পর তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। বুধবার বিকেলে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

পদত্যাগ করা তিন নেতা হলেন উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য তৌফিক হোসেন, মোক্তাদি কেমি ও জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরা দাবি করেন, দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অন্যদিকে যাঁরা দলের শৃঙ্খলা ও আদর্শ রক্ষা করেননি, তাঁদের পদ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাঁরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ৫ জুন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে পীরগঞ্জে ২৫ সদস্যের উপজেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন করা হয়। কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে পদ পান এ এস মজনু। যুগ্ম সমন্বয়কারী হন রাকিব মিয়া, রাকিবুল ইসলাম ও মোদাব্বেরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তৌফিক হোসেন বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া আমাদের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও ন্যায়বোধের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। আমরা গঠিত সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কমিটিতে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে, যাঁদের অতীত কর্মকাণ্ড বিতর্কিত। দলের জন্য কাজ করা ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন না করে উপেক্ষা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নয়, একক সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন করেছে। দলের শৃঙ্খলা ও আদর্শ রক্ষা করেননি, এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ক পদ দেওয়া হয়েছে।’ জুলাই আন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া নারী সংগঠকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।

তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রধান সমন্বয়কারী এ এস মজনু বলেন, গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিতর্কিত কাউকে রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ কেউ করেননি। সংগঠনের অনেক নারী আছেন, যাঁরা জাতীয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও জাতীয় যুবশক্তিতে যুক্ত হবেন। তাই তাঁদের কমিটিতে রাখা হয়নি।