ঢাকায় বাড়ছে খুন

৫৫
২০২১
৫৪
২০২২
৫১
২০২৩
৪৭
২০২৪
১১৬
২০২৫
হিসাব প্রতি বছরের প্রথম ৪ মাস (জানুয়ারি-এপ্রিল)
তথ্যসূত্র: পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যান
 
অপরাধ প্রতীকী ছবি

রাজধানী ঢাকার বাড্ডা থানাধীন গুদারাঘাট এলাকার একটি দোকানের সামনে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান সাধন। হঠাৎ মাস্ক পরা দুই যুবক এসে প্রকাশ্যে একের পর এক গুলি করে হত্যা করে তাকে। পরে একাধিক ফাঁকা গুলি করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ হত্যাকাণ্ডের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। একইদিন রাজধানীর মগবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ছিনতাইকারীরা এক তরুণের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছিনতাইয়ের শিকার তরুণের নাম আবদুল্লাহ।

গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পেছনের গলিতে এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে এবং ছুরিকাঘাত করে তার কাছ থেকে ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, তিন হাজার ৫শ ইউএস ডলার ও ১১শ সৌদি রিয়াল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ওপরের তিনটি ঘটনাই ঘটেছে গত ১০ দিনের মধ্যে। শুধু বাড্ডা, মগবাজার কিংবা মিরপুরের ঘটনাই নয়, দেশজুড়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। প্রকাশ্যে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, সশস্ত্র মহড়াসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটছে। মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এতে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা ও আতংক।

সন্ত্রাসীদের তৎপরতা রোধে এলাকাভিত্তিক নজরদারি এবং সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে নজরদারি করছে ডিবি। এতে সন্ত্রাসী তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এখনকার যেসব অপরাধে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম আসছে, সেগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

- ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম

এর আগে গত ১৯ মে রাতে ঢাকার সাভার থানাধীন ব্যাংক কলোনি এলাকায় শহীদ ইয়ামিন চত্বরের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে শাহীন (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত ১৮ মে রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডে এক যুবককে প্রকাশ্যে কোপানোর দুই মিনিট ছয় সেকেন্ডের এক ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

গত কয়েক দিনে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যেভাবে চলছে তা অব্যাহত থাকলে সামনের পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা জানান, বেশকিছু কারণে আশঙ্কা বাড়ছে। পুনর্গঠিত জেলা ও বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে পুলিশকে অবমূল্যায়ন, মব ভায়োলেন্স, পুলিশকে ভয় না পাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় অপরাধের মাত্রা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীতে। 

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা তৎপরতা বাড়িয়ে দেওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করা এসব সন্ত্রসীরা তাদের সহযোগীদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে। আবার আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে জড়াচ্ছে খুনোখুনিতেও।

এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, ৫ আগস্টের পরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়ার কারণে অন্য অপরাধীরাও উৎসাহিত হয়। তারাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, খুন ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে অপরাধে জড়াচ্ছে। এসব অপরাধীদের বিষয়ে পুলিশের কোনো নজরদারি নেই। কারণ পুলিশকে বহুমুখী কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিদিন আন্দোলন-সংগ্রাম, আসামি গ্রেপ্তার ও মামলা তদন্ত রয়েছে পুলিশের।

চার মাসে শুধু ঢাকায় ১৩৬ খুন

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিলে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে ১৬ হাজার ৩৬৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৩৩৬টি। এছাড়া ডাকাতির ৪৬, দস্যুতার ১৪৯, অপহরণের ৮৮টি ও ৭১৫টি চুরির মামলা। মার্চ মাসে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে ১৬ হাজার ২৪০টি মামলা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে মামলা হয়েছে ১৩ হাজার দুটি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৩০০টি। এছাড়া ডাকাতির ৭৪, দস্যুতার ১৫৩, অপহরণের ৭৮ ও ৬৭৩টি চুরির মামলা। জানুয়ারি মাসে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে ১৪ হাজার ৫৭২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ২৯৪টি। এছাড়া ডাকাতির ৭১, দস্যুতার ১৭১, অপহরণের ১০৫, ৭৯৭টি চুরির মামলা। এছাড়া গত ২৪ দিনে সারা দেশে ২৩ জন পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল গত চার মাসে শুধু রাজধানীতে ১৩৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি ৩৮টি খুন হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে।

পুলিশ যেহেতু তাদের ধরছে না সেহেতু পুলিশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যোগসূত্র থাকলেও থাকতে পারে। এ কারণে অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে। অপরাধীরা যা কিছু করছে জ্ঞাতসারে করছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার যোগসূত্রের ফলে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে।

- অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক ওমর ফারুক

২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে ঢাকায় খুন হন ৪৭ জন, ২০২৩ সালে ৫১, ২০২২ সালে ৫৪ ও ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে ঢাকায় খুন হন ৫৫ জন।

জানা যায়, দেশের অন্য স্থানের তুলনায় রাজধানীতে অপরাধের মাত্রা বেশি। ডিএমপির ৫০টি থানায় বিভিন্ন অপরাধে গত জানুয়ারিতে এক হাজার ৭৯১টি, ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৫৬৬, মার্চে ১৭শ ৫৪ ও এপ্রিলে ১৫শ ৪৭টি মামলা রুজু হয়েছে। সূত্র বলছে, প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীতে কোনো না কোনো চাঞ্চল্যকর অপরাধের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর থেকে এপ্রিল এই ছয় মাসে মহানগরীতে খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৩৯টি, ডাকাতির ঘটনায় মামলা ৩৬টি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৪৩টি ও চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ২৮টি। তবে এ পরিসংখ্যান শুধু নথিভুক্তিতে। এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটছে। খুনের ঘটনায় মামলা হলেও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগীই মামলা করেন না। 
 

সুব্রত বাইন গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা অধরা

অপরাধীরা জামিনে বের হয়ে কিংবা গোপন স্থান থেকে প্রকাশ্যে এসে এলাকায় নানাভাবে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনও ছিলেন এই দলে। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ মগবাজারের বিশাল সেন্টারে আসেন সুব্রত বাইন। এতে বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক তৈরি হয়। এলাকায় তার উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে এ এলাকার চাঁদাবাজি ও খুন-জখমের একের পর এক ঘটনায় তার নাম আসতে থাকে।

২০০১ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের ঘোষণা করা ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম ছিলেন সুব্রত বাইন। তাকে ধরিয়ে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। এখনো তার নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি রয়েছে। নোটিশ অনুযায়ী সুব্রত বাইনের বয়স ৫৬ বছর।

সুব্রত বাইন গ্রেপ্তার হলেও মগবাজার, মতিঝিল, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সক্রিয় অন্য সন্ত্রাসীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পরিকল্পনায় গ্রেফতার হয় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ। সুব্রত বাইনের দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়, তারা হলেন- শ্যুটার আরাফাত ও শরীফ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভিযানে গেলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তখন বল প্রয়োগ করা হলে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কাও থাকে। এ কারণে পুলিশকে অপরাধীরা এখন আর সেভাবে ভয় পাচ্ছে না। অপরাধীরা মনে করছে, তারা পার পেয়ে যাবে। 
 
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের তৎপরতা রোধে এলাকাভিত্তিক নজরদারি এবং সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে নজরদারি করছে ডিবি। এতে সন্ত্রাসী তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এখনকার যেসব অপরাধে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম আসছে, সেগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য এলাকাভিত্তিক সাঁড়াশি অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে।’
 

ঈদের আগে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে

সার্বিক বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম) ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী সুব্রত বাইনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি চলমান। আশা করছি ঈদের আগেই শীর্ষ সন্ত্রাসী যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে আন্ডারওয়ার্ল্ডের কার্যক্রম থাকবে না। পাশাপাশি পুলিশি পেট্রোলসহ টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে।’

ঈদ উপলক্ষে আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে বলেন, ‘পরিস্থিতি আন্ডার কন্ট্রোল। ঈদের আগে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
 

জামিন পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা পুলিশের নজরদারিতে নেই

অপরাধ বিশ্লেষক মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা পুলিশকে বলেছিলাম জননিরাপত্তা এবং নাগরিক জীবনের জন্য এটা হুমকি হবে। পুলিশ তখন বলছিল- তাদের ওপর যথেষ্ট পরিমাণ নজরদারি রাখা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো নজরদারি আমরা দেখছি না। কারণ পুলিশকে বহুমুখী কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিদিন আন্দোলন-সংগ্রাম, আসামি গ্রেফতার, মামলা তদন্ত কাজ করতে হচ্ছে পুলিশের।

তিনি বলেন, ‘আন্ডারওয়ার্ল্ডের যেসব অপরাধী ছিল তারাও মনে করছে অপরাধ করলেই ছাড় পাওয়া যায় অথবা শাস্তির আওতায় থাকলেও কিছুদিন পর মুক্তি পাওয়া যায়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে এসব অপরাধীরা। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে বিভিন্ন সিন্ডিকেট জড়িত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সিন্ডিকেটরাও কোনো না কোনোভাবে অপরাধীদের সঙ্গে সুযোগ নেওয়ার জন্য যুক্ত হয়। এটি উড়িয়ে নেওয়া যায় না।’

এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘পুলিশ যেহেতু তাদের ধরছে না সেহেতু পুলিশের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যোগসূত্র থাকলেও থাকতে পারে। এ কারণে অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে। অপরাধীরা যা কিছু করছে জ্ঞাতসারে করছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার যোগসূত্রের ফলে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে। পুলিশের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে পেশাদারত্ব যদি না থাকে অপরাধীদের আধিপত্য বাড়তেই থাকবে।’