প্রতিনিধি চাঁদপুর
![]() |
মিরাকেল বেরি ফলটি চেরি ফলের মতো দেখতে হলেও ছোট। গত শনিবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ফলটি দেখতে চেরির মতো টুকটুকে লাল। তবে আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট। টক বা তেতোজাতীয় যেকোনো খাবারকেও মিষ্টি স্বাদে পরিণত করতে পারে একটি পরিণত মিরাকেল বেরি। আফ্রিকান বিচিত্র এই ফলের চাষ হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামের একটি বাগানে।
‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ নামের এই বাগানের মালিক শৌখিন ফলচাষি হেলাল উদ্দিন। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে তাঁদের পরিত্যক্ত দুটি ইটভাটার জমি অনাবাদি পড়ে ছিল। চার বছর আগে এই জমিতে বালু ও মাটি ফেলে পরীক্ষামূলকভাবে ফলের চারা রোপণ করেন তিনি। এখন সেখানে প্রায় তিন একর জায়গায় তৈরি হয়েছে পুরো একটি বাগান।
হেলাল উদ্দিনের দাবি, ফলটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো মুখের স্বাদ পাল্টানোর ক্ষমতা। একটি ফল খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টক আম, লেবু, চালতা বা তেতো খাবারও মিষ্টি মনে হবে।
প্রায় তিন বছর আগে শাহতলী গ্রামে পাঁচটি মিরাকেল বেরির চারা রোপণ করেছিলেন হেলাল উদ্দিন। এখন প্রতিটি গাছেই ফল ফলেছে। প্রতিদিন লাল টুকটুকে ফল মাটিতে ঝরে পড়ছে। ঝরে যাওয়ার পর ফলটি ৪৮ ঘণ্টার বেশি সংরক্ষণ করা যায় না।
![]() |
গাছে মিরাকেল বেরি ফল দেখাচ্ছেন শৌখিন ফলচাষি হেলাল উদ্দিন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ফলটিকে বেশ দুর্লভ ও দামি উল্লেখ করে হেলাল উদ্দিন জানান, উষ্ণ ও মৃদু আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় যেকোনো জায়গায় মিরাকল বেরির গাছ বেড়ে উঠতে পারে। প্রায় সারা বছরই ফল দেয় গাছটি। ফলটির মধ্যে ঔষধি গুণাগুণও আছে।
ফলটির এমন জাদুকরি বৈশিষ্ট্যের কথা শুনে বাগানটিতে প্রায়ই অনেকেই এটির স্বাদ নিতে আসেন। ফলটির স্বাদ গ্রহণ করেছেন এমন কয়েকজন বলেন, একটি ফল খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টক, তেতো ও স্বাদহীন খাবার মুখে নিলেই মিষ্টি লাগে। এ জন্য যে কেউ যদি টক বা তেতোজাতীয় কোনো খাবার না খেতে পারেন, তাহলে একটি মিরাকেল বেরি খেয়ে বাকি খাবার খেলেই হবে। অবশ্য ফলটি সংগ্রহের জন্য যেতে হবে চাঁদপুরের ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রোতে। কারণ, সহজেই বাজারে মেলে না ফলটি।