প্রতিনিধি নাটোর

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেনের পিঠের ওপর পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় করে শহর ঘোরানো হয়। গত রোববার দুপুরে নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকায় | ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেনকে মারধরের পর অটোরিকশায় শুইয়ে জুতা পায়ে পিঠে পাড়া দিয়ে শহর ঘোরানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় নাটোর এন এস সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জুবায়েরসহ ছাত্রদলের চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে পাঁচ থেকে ছয়জনকে। তবে আসামিদের কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের বাবার মামলার আবেদনটি তাৎক্ষণিক মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ভুক্তভোগীকে পথরোধ করে মারধর করা, চাঁদা দাবি করা ও পকেট থেকে নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামির মধ্যে আছেন নাটোর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন, ছাত্রদল নেতা নাঈম, পাইলট ও নিখিল। তাঁদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।

রোববার দুপুরে প্রকাশ্যে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় পৌর ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেনকে মারধর করে অটোরিকশায় উপুড় করে শুইয়ে পিঠের ওপর জুতা পায়ে চেপে ধরে শহর ঘোরান ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। এ সময় তাঁরা উচ্চ স্বরে গান বাজান এবং ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় ওই তরুণ আর্তনাদ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। ছাত্রলীগ করার কারণে ফয়সালকে ওই শাস্তি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। পরে এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।