[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উপদেষ্টাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে, সংশোধন না হলে নাম প্রকাশ করা হবে: জামায়াত নেতা তাহের

প্রকাশঃ
অ+ অ-

পিআর পদ্ধতিতে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ। মৎস্য ভবন, ১৪ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন, তাঁদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামী–এর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এসব উপদেষ্টা সভায় কী বক্তব্য দেন, তার খবরও তাঁর কাছে আছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তাহের। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি অভিযোগ করেন, একটি দলের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে বসিয়ে নীলনকশা অনুযায়ী নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র চলছে। এতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ তিনি দেখছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, ‘আমি সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আজ হুঁশিয়ারি নয়, আহ্বান জানাচ্ছি—প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাঁদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। মিটিংয়ে তাঁরা কী বলেন, তার খবরও আছে। আমরা এখন জনগণের কাছে নাম প্রকাশ করছি না, সময় দিচ্ছি সংশোধনের জন্য। সময়মতো সাবধান না হলে জনসমক্ষে নাম প্রকাশ করা হবে।’

পিআর পদ্ধতিতে জুলাই জাতীয় সনদকে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত সড়কজুড়ে দলটি কর্মসূচি পালন করে। এর অংশ হিসেবে মৎস্য ভবন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হয়, প্রশাসনকেও নিরপেক্ষ থাকতে হয়। কিন্তু এখন প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে দলীয়করণের এক মহাষড়যন্ত্র চলছে।’

তিনি বলেন, ‘গত পরশু জনপ্রশাসনে একজন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আগেই সরকারকে বলেছিলাম, এই পদটি নির্বাচন আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নিরপেক্ষ ও সৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া দরকার। কিন্তু আমরা দেখছি, এমন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার অতীত দুর্নীতির ইতিহাস দীর্ঘ এবং যিনি একটি বিশেষ দলের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত ছিলেন।’

তাহের অভিযোগ করেন, ‘সরকারের চার থেকে পাঁচজন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে সব নিয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করে দলীয় সরকারে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। আমি পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি—সেখানেও একই কথা, একটি দলের লোকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রবল চাপ রয়েছে।’

নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গণভোট এখন জাতীয় ঐক্যের দাবি। তবে কেউ কেউ বলছেন, গণভোট ও জাতীয় ভোট একসঙ্গে হতে হবে—এভাবেই নতুন প্যাঁচ খেলার চেষ্টা চলছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম। বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও আবদুল হালিম প্রমুখ।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন