প্রতিনিধি বগুড়া

ভাঙচুর করা জাতীয় পার্টির কার্যালয়  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বগুড়ায় আবারও জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর থানার কাছাকাছি কবি নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত জেলা জাপার কার্যালয়ে এ হামলা চালায় ৩০–৩৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি।

জেলা জাতীয় পার্টির নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

জাপা নেতাদের ভাষ্য, রাত ৯টা পর্যন্ত কয়েকজন নেতাকর্মী কার্যালয়ে ছিলেন। এরপর তাঁরা চা খেতে সাতমাথা এলাকায় যান। ঠিক সে সময় মোটরসাইকেলে করে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক এসে হঠাৎ ভাঙচুর চালায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

বগুড়া জেলা জাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সরকার স্বপন বলেন, 'ভাঙচুরের ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও কাউকে পায়নি।' 

স্বপনের দাবি, 'এবারের হামলায় ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ছিল না। বরং অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এতে জড়িত। তিনি দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।'

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘ছাত্র-জনতা’ নামে একদল যুবক প্রথমে অন্য দলের কার্যালয়, পরে জেলা জাপার কার্যালয়ে হামলা চালায়। সেদিন অফিসের আসবাবপত্র বাইরে এনে আগুন দেওয়া হয় এবং বুলডোজার দিয়ে ভবনের সামনের অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বহুদিন ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সম্প্রতি কিছু সংস্কার করে কার্যালয়টি চালু করা হয়।

জেলা জাপার নেতারা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম ওমর আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরপর স্থানীয় নেতারা নিজেদের খরচে কার্যালয় চালু রাখেন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁদের খোঁজখবর রাখেন না বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, 'কারা এসে ভাঙচুর করেছে, তা জানা যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

বিষয়টি জানতে হোয়াটসঅ্যাপে জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর জানান, তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন এবং এ বিষয়ে কিছু জানেন না।