পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক
![]() |
রথের মেলায় প্রাণচাঞ্চল্য, ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহীতে জমে উঠেছে রথের মেলা। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মেলায় ব্যবসা ভালো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। মেলাকে কেন্দ্র করে নগরীর উৎসব সিনেমা হল মোড় থেকে সাগরপাড়া বটতলা পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব স্টলে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল।
মেলায় খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র ও শিশুদের খেলনাও বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতারা জানান, মেলা হলেও পণ্যের দাম অনেক বেশি রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামগ্রিকভাবে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিতেও দাম বাড়াতে হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বছর যেমন হয়, এবারও রাজশাহীর পাশাপাশি বাঘা, খুলনা, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও মাদারিপুর থেকে আসা ব্যবসায়ীরা দোকান বসিয়েছেন। মেলায় রয়েছে মাটির তৈজসপত্র, মিষ্টি, খাবারের দোকান, কাঠের ফার্নিচার, কাপড়, স্টিলের তৈজসপত্র, মাটি ও স্টিলের হাঁড়ি-পাতিল।
কাঠের আসবাবপত্রের মধ্যে খাট, সোফা, ওয়াড্রোব, চেয়ার-টেবিল, শোকেস, আলমারি পাওয়া যাচ্ছে। কাঠের খাট বিক্রেতা সবুজ আলী জানান, খাটের দাম সাড়ে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত, তবে বেশি বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকার মধ্যে। সোফা সেটের দাম ১৬ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
খাট ক্রেতা রাজিব আলী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দাম বেশি চাচ্ছে। কাঠ কিনে বাড়িতে মিস্ত্রির মাধ্যমে তৈরি করলে প্রায় একই খরচ পড়বে। মানুষ মেলায় কম দামে পণ্য পাওয়ার আশায় আসে, কিন্তু দাম কম হচ্ছে না। এরপরও দরদাম করে ২০ হাজার ২০০ টাকায় খাট কিনেছি।’
মেলায় দড়ির খাট কিনেছেন সুলতানা বেগম। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র রথের মেলায় এই খাট পাওয়া যায়, সারাবছর নয়। গরমে ব্যবহার করলেই আরামদায়ক।’ দড়ির খাট বিক্রেতা নাইম জানান, বিকেলে মেলার ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। বৃষ্টি সত্ত্বেও কেনাবেচা চলছে। খাটের দাম ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
সোফা কিনেছেন শামীম হোসেন। তিনি বললেন, ‘১৩ হাজার টাকায় একটি সোফা সেট নিয়েছি। কাঠের গুণগত মান ঠিক কেমন জানি না, তবে বিক্রেতারা ভালো কাঠ বলে জানাচ্ছে। বাইরের তুলনায় মেলায় দাম কিছুটা কম।’