প্রতিনিধি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, চাঁদাবাজ নো মোর’, ‘বিএনপি যুবদল, তুই খুনি তুই খুনি’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘চব্বিশের বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘চাঁদাবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে চব্বিশ একটি ফ্যাসিবাদের বিদায় ঘটিয়েছে। এই বাংলায় আবার কেউ যদি অতীতের মতো ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে চায়, তবে বাংলার ছাত্র-জনতা ঘরে বসে থাকবে না। মধ্যযুগীয় কায়দায় এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

এ সময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে। বারবার বিএনপি থেকে শুরু করে ছাত্রদলের ভাইয়েরা বলেন, তাঁদের কিছু হলেই আমরা কেন আন্দোলনে নামি। অথচ এসব অপকর্ম তাঁরাই বেশি ঘটান। এর আগেও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ভাইকে হত্যার পর আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। আমাদের এই প্রতিবাদের ভাষা চালু থাকবে, সামনে আরও কর্মসূচি হবে। আমরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’