বিনোদন প্রতিবেদক ঢাকা

 ফরিদা পারভীন ফাইল ছবি

বর্ষীয়ান লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়ায় ভক্ত-অনুরাগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

শিল্পীর স্বামী গাজী আবদুল হাকিম মঙ্গলবার সকালে এই গুজবের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, 'ওনার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও তিনি এখনও জীবিত আছেন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।' 

এর আগে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। এই খবরের পর বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা ফরিদা পারভীন প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী জানান, 'আম্মার চিকিৎসার জন্য কোনও আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন নেই এবং এ ধরনের কোনো আবেদন আমাদের পক্ষ থেকে করা হয়নি।' 

দীর্ঘদিন ধরেই লিভার, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন ফরিদা পারভীন। কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, গত রোববার তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে তিনি লালন সংগীতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

তিনি ‘লালন কন্যা’ নামে পরিচিত। লালন ফকিরের গান গেয়ে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। ক্লাসিক ও আধুনিক গানেও তার স্বকীয়তা রয়েছে। ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৩ সালে সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।