নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
পুলিশের বাধার মুখে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখী মিছিল থেমে যায় কাকরাইল মসজিদ মোড়ে। সেখানে অবস্থান নেন ‘তথ্য আপা’ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত নারীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। কাকরাইল মসজিদের মোড়ে পৌঁছালে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রেসক্লাব এলাকা থেকে মিছিলটি ছাড়ার সময় একবার পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে গেলেও কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আবার বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এর এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেন মিছিলকারীরা। পরে বিকেলে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা গত বুধবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তাঁদের দুই দফা দাবি হলো তথ্য আপা প্রকল্পে কর্মরত সব জনবলকে সমগ্রেডে পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে এবং কর্তনকৃত বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।
পুলিশের বাধা নিয়ে ঝালকাঠি সদরের তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মী সঙ্গীতা সরকার বলেন, ‘আজকে প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং তারা আমাদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।’
সঙ্গীতা সরকার জানান, এরপর মিছিল নিয়ে আন্দোলকারীরা যমুনার দিকে আসতে চাইলে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এরপর আন্দোলনকারীরা সেখানেই বসে পড়েন। সঙ্গীতার অভিযোগ, এ সময় পুরুষ পুলিশ সদস্যরা নারী আন্দোলনকারীদের বুট দিয়ে লাথি মারেন এবং মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদলকে যমুনায় পাঠানো হয়েছে। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে চলে গেছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তথ্য আপা প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই হাজার নারী মাঠপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিয়ে আসছেন। চলতি মাসের পর প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।