প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব (ডানে), হসিবুর ইসলাম হাসিব (মাঝে) এবং বিশাল | ছবি: সংগৃহীত |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যাদের মধ্যে দুজন ইতিমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতি পাওয়া।
ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষার্থী জসিমউদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।
তার অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেরচণ্ডী এলাকার জিয়া স্কুল সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা ছাত্রদলকর্মীরা তাকে ঘিরে ফেলেন। এরপর আলাদা করে নিয়ে চাঁদা দাবি করেন এবং একপর্যায়ে মারধর করে দেড় হাজার টাকা আদায় করেন।
জসিমউদ্দীনের ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। তখন তিনি জানান, অতীতে হলে থাকার জন্য ছাত্রলীগের কয়েকটি অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছিল, তবে তিনি কখনো কোনো বেআইনি কাজে জড়াননি। বরং গত জুলাইয়ে সংগঠিত এক আন্দোলনে তিনি অংশ নিয়েছিলেন, সে প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবি দেখান।
তবে এসব কথা শুনেও তাকে মারধর করা হয় এবং টাকাও দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার শর্তও দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান হাবীব বলেন, 'আমি তাকে কোনোভাবে ভয়ভীতি দেখাইনি, শুধু তার ফোন দেখতে চেয়েছিলাম। টাকা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যদি কিছু হতো, তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক মাধ্যমে লিখত, গভীর রাতে নয়।'
একই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বরে আরও একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। সেখানেও ওই দলটির বিরুদ্ধে এক ছাত্রী ও বহিরাগত এক যুবকের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, 'দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একই রাতে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও এই একই দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা নিয়ম অনুসারে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।'
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, 'অভিযুক্ত দুইজন ছাত্রদল থেকে আগেই বহিষ্কৃত। তাদের কোনো কর্মকাণ্ডের দায় সংগঠন নেবে না। তবে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে প্রশাসন যেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়, সেটি আমরা চাই।'
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের এক সদস্যের সঙ্গে কথিত চাঁদাবাজির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় আহসান হাবীব ও হাসিবুর ইসলাম হাসিবকে ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।