প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
সোমবার বিকেলে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবঘুরে, মাদকাসক্ত, অপ্রকৃতিস্থ মুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বরাবর তাঁর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতা–কর্মীরা।
স্মারকলিপিতে তাঁরা পাঁচটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ভবঘুরে-মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নেওয়া। ক্যাম্পাস থেকে তুলনামূলক দূরে অবস্থিত নারীদের হল এলাকায় সন্ধ্যা থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের অবস্থান আরও জোরদার করা। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মাদকসেবীসহ ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থ ও উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আসা, যাতে তারা ক্যাম্পাসে পুনরায় ফিরে না আসে। ক্যাম্পাসে বেড়ে ওঠা উদ্বাস্তু শিশু-কিশোরদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের সহায়তা করা এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের ভবঘুরে, অপ্রকৃতিস্থ, মাদকসেবী ও উদ্বাস্তুদের অবস্থান। তাদের উপস্থিতি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।’
সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসের ভিন্ন ভিন্ন মোড়ে তাদের মাদক সেবনরত অবস্থায় দেখা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রায়ই তারা নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে, বাজে ইঙ্গিত দেয় এবং চলাফেরায় বাধার সম্মুখীন করে।’
সুফিয়া কামাল হলের কাছের ফুটওভারব্রিজটিকে এমন অসংখ্য লোক রাতে নিজেদের ঘাঁটি করে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মূল ক্যাম্পাস থেকে তুলনামূলক দূরে নারী শিক্ষার্থীদের তিনটি হলের সামনে এবং যাতায়াতের রাস্তায় এসব ভবঘুরে, মাদকসেবী ও উদ্বাস্তুদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ কারণে এসব হলের নারী শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।’
এ সময় নারী শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য নির্ধারিত তিনটি হল অর্থাৎ সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সামনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং জরুরি প্রয়োজনে পাশে পেতে সকাল এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুজন করে চারজন প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্য নিয়োগের দাবি জানান আবদুল কাদের।