প্রতিনিধি পঞ্চগড়
![]() |
বাংলাদেশের শেষ সীমানা। মুজিবনগর, মেহেরপুর | ফাইল ছবি |
ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসা নারী, শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে পঞ্চগড়ের বোদা সীমান্তে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন ও বড়শশী ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ডানাকাটা ও মালকাডাঙ্গা বিওপির বিজিবির সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আজ সকালে মালকাডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবির নীলফামারী ৫৬ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মালকাডাঙ্গা বিওপি ও ভারতের ১৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুটিলিয়া ক্যাম্পের প্রতিনিধিদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বিজিবি প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ পুশ ব্যাকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পুরুষ, আট নারী ও এক শিশু রয়েছে। তাঁরা নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, নরসিংদী, খুলনা, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মোর্শেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটক ওই ১১ জনকে বোদা থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তরে প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত গভীর রাতে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের চোপড়ামারি এলাকায় ৭৭৪ নম্বর মেইন পিলারের ১৫ নম্বর সাব–পিলার এলাকায় প্রায় ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় ৭৬৮ নম্বর মেইন পিলারের ৩৬ নম্বর সাব–পিলার এলাকায় প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১ জনকে আটক করে বিজিবি। বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিক ও তাঁরা অবৈধ পথে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মোর্শেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আটক ওই ১১ বাংলাদেশি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন বলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তাঁদের ভারতীয় পুলিশ আটক করে বিএসএফের কাছে তুলে দেওয়ার পর তাঁদের সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি পুশ ব্যাক বলে মনে হচ্ছে। তবে পতাকা বৈঠকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশ ব্যাকের বিষয়টি স্বীকার করেনি। আটক ব্যক্তিদের বোদা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তাঁরা ভারতে বৈধভাবে, নাকি অবৈধভাবে ছিলেন, তা যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।