প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | ফাইল ছবি |
অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটকের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও একই বিভাগের এক ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, বিভাগের তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ওই শিক্ষক ও ছাত্রী বিভাগের কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্তে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক এম গোলাম সাদিককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ মে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ এবং একই বিভাগের এক ছাত্রীকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষক ও ছাত্রী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, পরিস্থিতি তৈরির পর ভিডিও ধারণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, সাংবাদিকসহ চারজন শিক্ষার্থী তিন লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছেন।
তবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত দুই সাংবাদিক দাবি করেন, তাঁরা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন। অন্যদিকে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করেন ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই শিক্ষক ২০ মে নগরের মতিহার থানায় চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন। আসামিরা হলেন আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মো. আতাউল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সুমন এবং ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব। এর মধ্যে সাজ্জাদ দৈনিক কালবেলা এবং সুমন খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। দুজনকেই প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে তদন্তের স্বার্থে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে।