প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে হামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
মশালমিছিলে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁরা ‘জামায়াত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘গুপ্ত বাহিনীর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শিবিরের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাসিনা আর আজহার এই বাংলার গাদ্দার’, ‘লীগ গেছে যেই পথে শিবির যাবে সেই পথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের আমলে মিছিলের মধ্যে যেমন মব সৃষ্টি করতে দেখা যেত, আজ তা হলপাড়ায় শিবিরের মধ্যে দেখা গেছে। গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আজ চট্টগ্রামে শিবিরের হামলা নতুন কিছু না, এটি তাদের ঐতিহ্য। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে হামলা জামায়াত-শিবিরের একাত্তরের বিরোধিতাকে স্পষ্ট করে, একাত্তরের বিরোধী শক্তি এই জামায়াত-শিবির, যাদের হাতে বীরাঙ্গনাদের রক্ত লেগে আছে, তারা এ দেশে কখনো দাঁড়াতে পারবে না।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মশালমিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হন। এ সময় ছাত্রজোটের ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সেখানেও ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যর’ ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রশিবিরের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রশিবির চট্টগ্রামে হামলার কথা অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেখানে শাহবাগপন্থী ও শাহবাগবিরোধী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আগে পুলিশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করত। এখন সেই প্রশাসন এবং রাষ্ট্রের পুলিশ জামায়াত-শিবিরের পক্ষে কাজ করছে। আজহারকে খালাস দেওয়া হয়েছে, নির্দোষ বলে রায় দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
মশালমিছিলে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁরা ‘জামায়াত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘গুপ্ত বাহিনীর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শিবিরের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাসিনা আর আজহার এই বাংলার গাদ্দার’, ‘লীগ গেছে যেই পথে শিবির যাবে সেই পথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের আমলে মিছিলের মধ্যে যেমন মব সৃষ্টি করতে দেখা যেত, আজ তা হলপাড়ায় শিবিরের মধ্যে দেখা গেছে। গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও আজ চট্টগ্রামে শিবিরের হামলা নতুন কিছু না, এটি তাদের ঐতিহ্য। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে হামলা জামায়াত-শিবিরের একাত্তরের বিরোধিতাকে স্পষ্ট করে, একাত্তরের বিরোধী শক্তি এই জামায়াত-শিবির, যাদের হাতে বীরাঙ্গনাদের রক্ত লেগে আছে, তারা এ দেশে কখনো দাঁড়াতে পারবে না।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মশালমিছিলে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হন। এ সময় ছাত্রজোটের ব্যানার কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সেখানেও ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যর’ ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রশিবিরের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রশিবির চট্টগ্রামে হামলার কথা অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেখানে শাহবাগপন্থী ও শাহবাগবিরোধী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আগে পুলিশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করত। এখন সেই প্রশাসন এবং রাষ্ট্রের পুলিশ জামায়াত-শিবিরের পক্ষে কাজ করছে। আজহারকে খালাস দেওয়া হয়েছে, নির্দোষ বলে রায় দেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার।’