প্রতিনিধি নাটোর


আহত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন | ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুঁইয়াকে গাছে বেঁধে পিটিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা এমন অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী থেকে ধরে এনে তাঁকে নাটোর সদরের আমিরগঞ্জ বাজারে নির্যাতন করা হয়। এতে তাঁর মুখে আঘাত লাগে। নাটোর জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার আমিরগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকায় নেওয়ার পথে আহত মামুন জানান, 'ব্যবসায়িক কাজে শনিবার তিনি রাজশাহী যান। সেখান থেকে বিএনপির কর্মী সজীব, শাহীন, রব মিয়াসহ কয়েকজন তাঁকে জোরপূর্বক দুটি মাইক্রোবাসে করে নাটোরে নিয়ে আসেন। এরপর আমিরগঞ্জ বাজারে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রথমে মারধর করেন, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।'

মামুন বলেন, ‘তারা আমাকে বাঁচাতে কাউকে এগোতে দেয়নি। এর আগেও সকালে চাঁদা না পেয়ে আমার এক চাচাতো ভাইকেও মারধর করেছে।’

ঘটনার পর অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ বলেন, ‘এ ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নয়। মামুনদের পরিবার দীর্ঘদিন এলাকায় দাপট দেখিয়েছে, মানুষকে ভয়ভীতি ও নির্যাতন করেছে। স্থানীয়দের ক্ষোভ থেকেই হয়তো এ ঘটনা ঘটেছে।’

নাটোর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুব্রত কুমার জানান, ‘শনিবার রাতে মামুনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত ও পায়ে দুটি ক্ষত ছিল। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়।’

নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর মধ্যেই স্থানীয়রা আহত মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান।’

তিনি আরও জানান, 'স্থানীয় বিএনপি কর্মীরাও এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।'