প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

হামলায় আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের ওপর হামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানার নারায়ণপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় নিষিদ্ধঘোষিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে আটক করা হয়েছে।

চাঁদপুরের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে মেহেদী হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘তোর সমন্বয়কগিরি ছুটায়ে দিব’ বলে হামলাকারীরা তাঁর ওপর হামলা চালান। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। নারায়ণপুর বাজারে আমার ভগ্নিপতির দোকানে একদল লোক চাঁদা দাবি করতে আসে। তখন আমার বাবা সেখানে ছিলেন। তারা আমার বাবাকে হেনস্তা করে। তখন আমার বাবা ফোন করে আমাকে জানান। আমি সেখানে যাওয়ার পর কথা বলতে যাব, এমন সময় তারা আমাকে ঘিরে ধরে। অতর্কিতে হামলা চালায়। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল ছিল।’

হামলাকারীদের চেনেন না উল্লেখ করে মেহেদী হাসান বলেন, ‘সেখান থেকে দৌড়ে গিয়ে আমি একটি দোকানে আশ্রয় নিই। তখন ওই দোকানদারকেও মারধর করা হয়।’

চাঁদপুর মতলব (দক্ষিণ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় নারায়ণপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহজাহানকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান | ফাইল ছবি

হামলার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান মেহেদী হাসান।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর আমি চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার ও মতলব থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা একজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’