রাহীদ এজাজ ঢাকা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে মো. জসীম উদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ-বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। যদিও কোনো এক অজানা কারণে নতুন পররাষ্ট্রসচিব নিয়োগের বিষয়ে গতকাল রোববার পর্যন্ত কোনো দাপ্তরিক আদেশ জারি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে সমস্যা। সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা চলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শনিবার দুপুরে জসীম উদ্দিনের উত্তরসূরি বেছে নিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পাঁচ কূটনীতিকের নাম প্রস্তাব করে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছেন। ওই তালিকায় থাকা পাঁচ কূটনীতিকের সবাই বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

গতকাল বিকেলে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, জসীম উদ্দিন আর পররাষ্ট্রসচিব থাকছেন না, তা নিশ্চিত। তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানা পর্যায়ের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পররাষ্ট্রসচিব পরিবর্তনকে ঘিরে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে মন্ত্রণালয়ে। এরই মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মৌখিক নির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম।

দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের অনুপস্থিতির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান করেছে বলে মনে করেন ঢাকার কর্মকর্তারা। ১৫ মে টোকিওতে জাপানের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন মো. নজরুল ইসলাম। কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশকের মধ্যে এ ধরনের বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের পরিবর্তে অন্য কোনো কর্মকর্তার নেতৃত্ব দেওয়ার নজির এবারই প্রথম। গত ১০ দিনে আন্তমন্ত্রণালয়ের কোনো বৈঠকে জসীম উদ্দিন ছিলেন না। বৈঠকগুলোতে সচিব পদমর্যাদার অন্য দুই কর্মকর্তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ৭ মে জসীম উদ্দিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পররাষ্ট্রসচিব পদে তিনি থাকছেন না। এ দিন বিকেলে ছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে পররাষ্ট্রবিষয়ক নিয়োগ ও শৃঙ্খলাবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিবকে উপস্থিত না থাকতে পরামর্শ দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটির অন্যতম সদস্য পররাষ্ট্রসচিব।

জসীম উদ্দিনের বিদায় যাতে অসম্মানজনক না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে আছে তাঁকে কোনো দেশে রাষ্ট্রদূত কিংবা ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর হিসেবে নিয়োগ। আবার তাঁকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা কিংবা বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের একটি মহলের জোরালো মত রয়েছে। এর আগে মার্চ মাসে পররাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে জসীম উদ্দিনকে সরানোর উদ্যোগ ছিল। সেবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে এমন পরিবর্তনের প্রয়াস ভেস্তে যায়।

বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন গত বছরের সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্রসচিবের পদে যোগ দেন। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে তাঁর অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত, গত পাঁচ দশকে পররাষ্ট্রসচিব পদে নিয়োগের এক বছর কিংবা তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যে কাউকে সরিয়ে দেওয়ার নজির মাত্র তিনটি। তাঁদের মধ্যে ১৯৭২ সালে নিয়োগের ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয় পররাষ্ট্রসচিব সৈয়দ আনোয়ারুল করিমকে। ১৯৮৯ সালে এ কে এইচ মোরশেদকে সরানো হয় চার মাসের মাথায়। আর ২০০১ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে পররাষ্ট্রসচিবের পদ থেকে পাঁচ মাসের মাথায় সরিয়ে দেওয়া হয়। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালের মার্চে নিয়োগ দিয়েছিল। ওই বছরের জুনের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর স্থলাভিষিক্ত হন শমসের মবিন চৌধুরী।

পররাষ্ট্রসচিব পরিবর্তনকে ঘিরে মন্ত্রণালয়ে অস্বস্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে অফিসার্স ক্লাবে জসীম উদ্দিনের সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি। ১২ মে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ সাবেক সচিবের পাশাপাশি পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। দুদকের মামলা চালু হওয়ায় এবং দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তাঁদের ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে নানামুখী সমালোচনা

গত বছরের ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন কূটনীতিককে নিয়ে অব্যাহতভাবে সমালোচনা ও পাল্টা সমালোচনা চলছে। ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণার পাশাপাশি চলছে উড়ো ই-মেইল চালাচালি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের প্রতি বাংলাদেশের কূটনীতিকদের কারও কারও সমর্থন এবং অতি উৎসাহী ভূমিকা ছিল। অতি উৎসাহী এবং দলীয় কর্মীর মতো আচরণকারী ওই কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের আগ্রহ কম বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও পক্ষপাতিত্বের কারণে দেশে ও বিদেশে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করছেন বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকেরা।

সরকারি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক বিশেষ সহকারী (সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায়) হিসেবে জেনেভায় বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি মো. সুফিউর রহমানের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তৌহিদ হোসেন। রোহিঙ্গাবিষয়ক বিশেষ সহকারীর নিয়োগ চূড়ান্ত করার আগে অধ্যাপক ইউনূস তাঁর দপ্তরে সুফিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।

পরের সপ্তাহে নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সুফিউর রহমানকে ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর’ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়। সুফিউর রহমানকে নিয়ে এমন প্রচারণায় তৌহিদ হোসেন কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন বলে জানা যায়। পরে সুফিউর রহমানের পরিবর্তে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক ও অগ্রাধিকারমূলক বিষয়াবলির হাই রিপ্রেজেনটেটিভ নিযুক্ত হন খলিলুর রহমান।

গত ২০ এপ্রিল সুফিউর রহমানকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬ অনুযায়ী উপদেষ্টাকে সহায়তার জন্য সুফিউর রহমানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। প্রসঙ্গত গত বছরের নভেম্বরে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা খোদা বকশ চৌধুরী ও ডা. সায়েদুর রহমানকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের যথাক্রমে স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে এ বছরের মার্চে শেখ মইনউদ্দিন ও ফায়েজ আহমদ তৈয়্যব বিশেষ সহকারী হিসেবে যথাক্রমে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা পেয়েছেন।

যদিও প্রায় এক মাস আগে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হলেও সুফিউর রহমান গতকাল পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি। বাকি চারজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ পাওয়ার পরপরই নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে তাঁদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সুফিউরের নিয়োগের পরপরই একটি পক্ষ প্রচারণা শুরু করে যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণের ফলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে একটি পক্ষ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে যুক্তি দেয় যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে সুফিউর রহমানের দপ্তর তেজগাঁও হওয়াটা সমীচীন। সুফিউরের বিপক্ষে এবার গত অক্টোবরের তুলনায় অনেক বেশি প্রচারণা শুরু হয়। একপর্যায়ে সুফিউরের পক্ষ থেকেও শুরু হয় পাল্টা প্রচারণা।

সুফিউর রহমান যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে এ মাসের শুরুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাঁকে যে নিয়োগ দিয়েছেন, তাতে কিন্তু বলা হয়নি যে তাঁকে নির্দিষ্ট কোন দিনে যোগ দিতে হবে। দেখা যাক, কবে তিনি যোগ দেন।

বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক, মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর থেকে শ্রম খাত সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমন্বয় সভায় নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শ্রম খাত সংস্কারে কী কী করেছে এবং এ খাতের সংস্কারে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির বিষয়ে ১২ মে পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করা হয়। ওই ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

এ বছরের শুরু থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অনেক বিষয়ে খলিলুর রহমানের ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা এখন সামনে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর, জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফর, প্রধান উপদেষ্টার থাইল্যান্ড ও কাতার সফরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গত মাসে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন দেশ ও জোটও নানান ইস্যুতে ইদানীং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা এগিয়ে নিচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক বিদেশি কূটনীতিক বলেন, কোনো কোনো বিষয় নিয়ে যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দীর্ঘসূত্রতা আর সিদ্ধান্তহীনতা দেখি, তাঁদের তো বিকল্প খুঁজে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মো হুমায়ূন কবীর মনে করেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসের এমন এক পর্বে এসে দেশের ভাবমূর্তি বাড়ানো এবং টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের দক্ষতা অর্জন করে কাজ করাটাই একমাত্র অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।