নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
বাম গণতান্ত্রিক জোট | ছবি: সংগৃহীত |
‘বামদের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হলে বাংলাদেশে জব হবে না, বাংলাদেশকে উনারা বনসাই বানিয়ে রাখতে চান’—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা। একই সঙ্গে তারা এ বক্তব্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে।
সম্প্রতি প্রেস সচিব শফিকুল আলম একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে বামধারার রাজনীতিবিদদের নিয়ে এমন মন্তব্য করেন। আজ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতারা বলেন, ‘শফিকুল আলমের এই বক্তব্য একদেশদর্শী, পক্ষপাতদুষ্ট ও বিদ্বেষপ্রসূত। তাঁর এই বক্তব্যের ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বহু দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগসহ যারাই দেশের জনগণের স্বার্থ বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে, দেশের স্বাধীন অর্থনৈতিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে, বিদেশি কোম্পানির কমিশনভোগী, তারাই বামপন্থী শক্তিকে উন্নয়নবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে—প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, এই সরকারের বিচার, সংস্কার, নির্বাচন আর রুটিন কাজ করার এখতিয়ার আছে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই কেবল সংস্কার করতে পারবে। অথচ বন্দর, মানবিক করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতারা বলেন, ‘আমরা প্রেস সচিবের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে প্রেস সচিবের এসব বক্তব্য নিয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহম্মদ নাসু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের আহ্বায়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ।