নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

কথা বলছেন অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন বলেছেন, 'ন্যায্য দাবি পূরণে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেলে একচুলও নড়বো না।'

শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে সমাবেশের শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অধ্যাপক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন জানান, 'আজকের সমাবেশ এবং গণঅনশনে অংশ নিচ্ছেন জবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ইতোমধ্যে জবি অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়নের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।'

তিনি বলেন, ‘দুই রাত আমার সন্তানরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেছে। সরকার এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। তাই তার উচিত, সব সেক্টরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ সবসময় অবহেলিত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। এবার আমাদের পূর্ণাঙ্গ দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে কাকরাইল হবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সরকার এখনও বুঝতে পারেনি।’

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারের কোনও এজেন্সি আমাকে তুলে নিয়ে গেলেও যেন আন্দোলন থেমে না যায়।'

তিন দফা দাবিতে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ নিয়ে যাওয়ার সময় কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অর্ধশত শিক্ষক–শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর বেলা দুইটা থেকে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তখন থেকে সেখানে তাঁদের লাগাতার অবস্থান চলছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনবৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করার তিন দফা দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে যমুনা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।