প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ

v

তলিয়ে যাওয়ার পর একে একে ভেসে ওঠে মৃত গরুগুলো। আজ শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের খালে জোয়ারের পানির তোড়ে অর্ধশতাধিক গরু ভেসে গেছে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম–সংলগ্ন খালে এ ঘটনার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৬টি মৃত গরু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাটি বলাকী গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রায় সবার গরু রয়েছে। গ্রামের মানুষ প্রতিদিন গ্রাম-সংলগ্ন চরে খাল পাড়ি দিয়ে শতাধিক গরু ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। ঘাস খেয়ে প্রতিদিন বিকেলে গরুগুলো আবার গোয়ালঘরে ফিরে আসে। শুক্রবার বিকেলে খাল জোয়ারের পানিতে ভরে যায়। কচুরিপানায়ও পূর্ণ হয়ে যায়। বিকেলে চর থেকে গরু খাল পার হচ্ছিল। সে সময় জোয়ারের পানির স্রোতে এবং কচুরিপানার চাপে গরুগুলো তলিয়ে যায়।

তবে উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে ৩৬টি গরু পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে বলে জানান গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের তালিকা ৩৬টি গরু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছি। ২৬টি মৃত গরু উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো জীবিত না মৃত, খোঁজ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করা যায়, সে বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ভাটি বলাকী গ্রামের কৃষক মহসিনের চারটি, নাহিদ ইসলামের তিনটি, ইয়ানূর হোসেনের তিনটি, এমরান মিয়ার দুটি, মাসুম মিয়ার একটি, আবুল হোসেনের তিনটি, শাহজালালের তিনটি, কবির হোসেন খানের তিনটি, শরিফ হোসেনের তিনটি, তরিকুল ইসলামের দুটিসহ অর্ধশতাধিক গরু পানিতে ডুবে যায়।

ভুক্তভোগী কৃষক মহসিন মিয়া বলেন, ‘এমন ঘটনা জীবনেও ঘটেনি। এমন কিছু ঘটতে পারে, তা আমরা চিন্তাও করিনি। আমার চারটি গরু পানিতে ডুবে গেছে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। পথের ফকির হয়ে গেছি।’