[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিনদুপুরে কী চলেছে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকা অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটসহ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বুধবার বেলা দেড়টা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তমঞ্চের কাছে দাঁড়িয়ে মাদক সেবন করছেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। দূর থেকেই মাদকের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, আরও কয়েকজন মাদক সেবন করছেন।

আগের দিন মঙ্গলবার রাতে উদ্যানটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য খুন হওয়ার পরও গতকাল এভাবে মাদক সেবন চলছিল। পুলিশি তৎপরতাও দেখা যায়নি।

তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে ওঠা অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটসহ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ইতিমধ্যে কয়েক শ দোকানপাট-স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

রাজধানীতে যে কয়টি বড় উদ্যান রয়েছে, তার একটি সোহরাওয়ার্দী। ঐতিহাসিক এ উদ্যানে প্রতিদিন বহু মানুষ সময় কাটাতে যায়, হাঁটতে যায়, খেলতে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও সেখানে যান। কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থার অভাবে উদ্যানটি পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়। উদ্যানে প্রকাশ্যেই মাদক কেনাবেচা হয়।

শুধু মাদক সেবন ও ব্যবসা নয়, উদ্যানটিতে শত শত দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়। প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিগত কয়েক বছরে সেখানে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে প্রায়ই।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নোংরা। যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হয় ময়লা-আবর্জনা। উন্মুক্ত স্থানে করা হয় মল ও মূত্রত্যাগ। সব মিলিয়ে সেটি সাধারণ মানুষের যাওয়ার উপযোগী নয়। তারপরও রাজধানীতে খোলা জায়গার অভাবে সেখানে যায় মানুষ। নানা অনুষ্ঠানও হয়। রাজনৈতিক সমাবেশের একটি বড় জায়গা হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শুধু মাদক সেবন ও ব্যবসা নয়, উদ্যানটিতে শত শত দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়। প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিগত কয়েক বছরে সেখানে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে প্রায়ই।

এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানটিতে একসময় ঘোড়দৌড় হতো। নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান। এখানেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এর আগে স্বাধীনতার পর প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামে উদ্যানটির নামকরণ করা হয় ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’।

এ উদ্যানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদপ্তরের। তাদের তথ্য অনুযায়ী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আয়তন ৬৩ একর। উদ্যানটির ভেতরে স্বাধীনতাস্তম্ভ, শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা জাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর আরও কাজ যুক্ত করা হয়েছে। পুরো কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এ উদ্যানে অবাধে যেকোনো সময় মানুষ ঢুকতে পারে, বের হতে পারে। এর প্রবেশপথ অন্তত পাঁচটি। কোথাও তেমন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। ভেতরেও নিরাপত্তার ঘাটতি ব্যাপক। ফলে সারা দিন মাদক সেবন চলে। সন্ধ্যা নামলে নানা অপরাধের ঘটনা ঘটে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রতিনিয়ত শাহবাগ এলাকায় একের পর এক আন্দোলন সামলাচ্ছি। তারপরও সময় পেলে আমরা প্রতিনিয়তই মাদক উদ্ধার করে মামলা দিচ্ছি। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই আমরা যৌথ বাহিনীর একটা বড় আকারে অভিযান পরিচালনা করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজটি করা হবে।

—শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর ।

মাদকের আসর

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল ভাসমান মানুষদের সঙ্গে কথা হয়, যাঁরা উদ্যানেই থাকেন। তাঁরা বলেন, পুরো উদ্যানে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি চক্র মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা অনেকেই দিনের বেলা ফুল বিক্রি করেন। তাঁদের পেছনে বড় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রক রয়েছেন।

ক্রেতা সেজে এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে গতকাল দুপুরে কথা হয়। তিনি বলেন, আগের চেয়ে ক্রেতা বেড়েছে। কারণ, এখন মাদক সেবন অবাধ। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছাত্রনেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টাকা দিয়েই মাদক ব্যবসা করতে হয়।

এই মাদক ব্যবসায়ী দাবি করেন, তিনি উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মাদকদ্রব্য বিক্রি করেন। থাকেন উদ্যানে নির্মাণাধীন ‘ফুড কিওস্ক’ ক্যানটিনে। উল্লেখ্য, উদ্যানে ঘুরতে আসা মানুষের বসার জায়গা, হালকা খাবার গ্রহণ ও শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করতে নির্মাণ করা হয়েছিল ফুড কিওস্ক ক্যানটিন। সেগুলো অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশি কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়ার সুযোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসা বেড়েছে।

শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রতিনিয়ত শাহবাগ এলাকায় একের পর এক আন্দোলন সামলাচ্ছি। তারপরও সময় পেলে আমরা প্রতিনিয়তই মাদক উদ্ধার করে মামলা দিচ্ছি। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই আমরা যৌথ বাহিনীর একটা বড় আকারে অভিযান পরিচালনা করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজটি করা হবে।’

সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি–সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটককে কেন্দ্র করে প্রায় ১০০ দোকান। জুলাইয়ের আগে সেখানে দোকান থাকত ২০-৩০টি। ছাত্রলীগের নেতারা চাঁদা না দিলে দোকান বসাতে দিতেন না।

শত শত দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগে থেকেই দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি হতো। এ অভিযোগ ছিল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দোকান আরও বেড়েছে। এখন দোকানের সংখ্যা হাজারের বেশি হবে বলে ধারণা উদ্যানে নিয়মিত যাওয়া মানুষদের।

সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি–সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটককে কেন্দ্র করে প্রায় ১০০ দোকান। জুলাইয়ের আগে সেখানে দোকান থাকত ২০-৩০টি। ছাত্রলীগের নেতারা চাঁদা না দিলে দোকান বসাতে দিতেন না।

ঘুরে দেখা যায়, উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকা থেকে শুরু করে চারুকলা–সংলগ্ন প্রবেশপথ, ছবির হাট, রমনা কালীমন্দির প্রবেশপথ এলাকায় শত শত ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে।

ভ্রাম্যমাণ দোকান পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন নতুন চক্র দোকান নিয়ন্ত্রণ করছে। নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে রয়েছেন শাহজাহান, খোকা, নান্নু, জাহাঙ্গীর, সেলিম, বাবু, বাশার, হৃদয়, সেলিমসহ ১০-১৫ জন। তাঁরা মূলত স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রনেতার প্রশ্রয়ে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়েও বেশ কয়েকটি দোকান বসানো হয়েছে।

আরও জানা যায়, দোকানপ্রতি এককালীন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। দৈনিক দিতে হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। সপ্তাহ শেষে আরও ২০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয় চাঁদাবাজেরা।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রায়ই উচ্ছেদ করি, আবার বসে যায়। অনেকেই এদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বসায়। কেউ কেউ আবার ছাত্র পরিচয় দেয়। তখন আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘অভিযান চালালে আমাদের নামে স্যারদের কাছে বিচার দেয়। তাই আমরা কিছু বলতে পারি না।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।

—আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ।

অপরাধের ঘটনা

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উদ্যানের ভেতর ৬৫ বছরের এক নারীকে নির্যাতন করা হয়। গত ২১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নারী পুলিশ সদস্যকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।

২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি উদ্যান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ২১ এপ্রিল উদ্যানের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এক তরুণীর মরদেহ।

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে উদ্যানের ভেতরে এক দম্পতিকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা রাহুল রায় ও তানজির আরাফাত তুষারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই বছর বইমেলার সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের আরও দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০২১ সালের ১ জুন উদ্যানসংলগ্ন এলাকা থেকে আবুল হাসান নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাবার করা মামলায় দীর্ঘ দুই বছর পর বেরিয়ে আসে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রলীগের কিছু কর্মী জড়িত ছিলেন এ হত্যাকাণ্ডে।

আমরা প্রায়ই উচ্ছেদ করি, আবার বসে যায়। অনেকেই এদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বসায়। কেউ কেউ আবার ছাত্র পরিচয় দেয়। তখন আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারি না।

— গণপূর্ত অধিদপ্তরের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট নজরুল ইসলাম ।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খুনের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো ১. টিএসসি–সংলগ্ন উদ্যানের ফটকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। ২. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে। ৩. নিয়মিত নজরদারি ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ৪. উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) করা হবে। ৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড (নিবেদিত) পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে। ৬. উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। ৭. রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।

উপদেষ্টা লিখেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন