প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
![]() |
নিহত শিশু নাজিয়া আক্তার লাবনী | ছবি: সংগৃহীত |
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নানির বিরুদ্ধে ৮ বছরের নাতনিকে মারধরের পর গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন ব্রাহ্মণগ্রামে শিশুটির নানা শুকুর আলীর বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির নানি লালবানু বেগমকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুটির নাম নাজিয়া আক্তার লাবনী (৮)। সে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসর গ্রামের নাহিদ আলম ও নার্গিস খাতুন দম্পতির বড় মেয়ে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে নিহত নাজিয়ার বাবা নাহিদ আলম শাশুড়ি লালবানু বেগম ও স্ত্রী নার্গিস খাতুনকে (নাজিয়ার মা) আসামি করে এনায়েতপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৭-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ, শিশুটির পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিন বছর ধরে নাজিয়া তার মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে থাকত। সে স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে নার্সারি শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। বাবা চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। শিশুটির মা বর্তমানে অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরে মেয়ে ও নাতনি বাড়িতে থাকার কারণে মাঝেমধ্যেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানি শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এমনই এক তুচ্ছ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নানি লালবানু বেগম শিশু নাজিয়াকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি গলা টিপে শ্বাসরোধ করে নাজিয়াকে হত্যা করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা শিশুটিকে নিথর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নাজিয়ার দাদা আবদুস ছালাম অভিযোগ করে বলেন, নানাবাড়িতে থাকার কারণে নাজিয়ার বাবা নিয়মিত তাঁদের খরচের জন্য টাকা দিলেও নানি লালবানু বেগম তাঁর মেয়েকে সেই টাকা দিতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হতো।
নাজিয়ার বাবা নাহিদ আলম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। দুই মেয়ের মধ্যে ফুলের মতো বড় মেয়েটিকে গলা টিপে শ্বাসরোধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মাথা ও গলায় আঘাতের দাগ আছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হত্যা মামলা করার পর মূল আসামিকে (নানি) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নাজিয়ার দাদা আবদুস ছালাম অভিযোগ করে বলেন, নানাবাড়িতে থাকার কারণে নাজিয়ার বাবা নিয়মিত তাঁদের খরচের জন্য টাকা দিলেও নানি লালবানু বেগম তাঁর মেয়েকে সেই টাকা দিতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হতো।
নাজিয়ার বাবা নাহিদ আলম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। দুই মেয়ের মধ্যে ফুলের মতো বড় মেয়েটিকে গলা টিপে শ্বাসরোধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মাথা ও গলায় আঘাতের দাগ আছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হত্যা মামলা করার পর মূল আসামিকে (নানি) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।