প্রতিনিধি পাবনা

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আইডি কার্ড সংশোধন, নতুন ভোটার হওয়া ও এলাকা পরিবর্তনের কাজে নিয়মিত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব সেবা নিতে গেলে নির্দিষ্ট হারে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে নানা অজুহাতে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় অফিসে। এতে পাসপোর্ট, চাকরি ও জরুরি কাজের জন্য অনেকেই বিপাকে পড়ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসের দফতরি (পিয়ন) শওকত আলী স্থানীয় কিছু কম্পিউটার দোকানের সঙ্গে মিলে এসব সেবা দেওয়ার নামে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব সেবার জন্য তেমন কোনো ফি নেই।

ভুক্তভোগীদের মতে, যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের কাজ সহজে হয়ে যায়। আর যাঁরা টাকা দেন না, তাঁদের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও নানা অজুহাতে অফিসে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।

সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটা আইডি সংশোধনের জন্য কয়েকবার যেতে হয়েছে। অফিসের সামনে দালালদের রাজত্ব। দালালকে টাকা দিলে কাজ দ্রুত হয়। টাকা না দিলে মাসের পর মাসেও কাজ হয় না।’

পূর্বটেংরী এলাকার নাইম উদ্দিন বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনে কিছু ভুল থাকায় আমার এক আত্মীয় নতুন ভোটার হতে গেলে শওকত আলী ৬ হাজার টাকা চেয়েছে। টাকা না দেওয়ায় কাজ আর হয়নি।’

দিয়াড় বাঘইল গ্রামের শিপন বেপারী বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে আইডি কার্ড করাতে গিয়ে শওকত আলী ৩ হাজার টাকা চেয়েছে। টাকা দিতে না পারায় কাজ থেমে আছে।’

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দফতরি শওকত আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা। আমি এসব করি না। অফিসের অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে।’ স্থানীয় কিছু কম্পিউটার দোকানের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি করিনি। যাচাই করে দেখতে পারেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, ‘আমি এমন কোনো অভিযোগ আগে পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি এখন থেকে খেয়াল রাখব।’