সংঘর্ষে হতাহত ব্যক্তিদের ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। গতকাল রোববার রাতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে গতকাল রোববার রাতে।
নিহত কুদ্দুছ মোল্লার (৫৫) বাড়ি মকরমপট্টি এলাকায়। আহত ব্যক্তিদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মকরমপট্টি গ্রামের দবির মাতুব্বর (৬৫) ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের বজলু মুন্সী (৬০)। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে দুই পক্ষের কয়েক শ লোক ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পক্ষের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহত কুদ্দুছ মোল্লাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের বলেন, সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুদ্দুছ মোল্লা নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন আছে।
নিহত কুদ্দুছ মোল্লার ছেলে মিঠুন মোল্লা (২০) বলেন, ‘আমার বাবাকে দবির মাতুব্বরের নেতৃত্বে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের বিরোধেই এই ঘটনা ঘটেছে।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।