প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
![]() |
পাহাড়, নদী ও ঝরনার কারণে খাগড়াছড়ি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সরকার পরিবর্তন, পাহাড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত। পর্যটকের অভাবে লোকসানে পড়েছেন হোটেল, পরিবহনসহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খাগড়াছড়ি শহরের গাইরিং হোটেলের স্বত্বাধিকারী এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, 'গত বছর এ সময় প্রচুর পর্যটক এসেছিল। এবার পর্যটক নেই বললেই চলে। সরকার পরিবর্তন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাত, সাজেকে অগ্নিকাণ্ড, অপহরণ, গাড়ি আটকের মতো নানা ঘটনায় পর্যটনখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পর্যটকেরা না আসায় হোটেল ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সরকার যদি মনোযোগ দেয়, তাহলে এই খাতের সবাই লাভবান হবে।'
খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আসলাম কালু জানান, 'পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় গাড়ি কমিয়ে আনতে হয়েছে। অনেক চালক ও শ্রমিককে কাজ ছাড়া বসে থাকতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খাতেও নেমে এসেছে মন্দা।'
সিস্টেম হোটেলের মালিক মং মারমা বলেন, 'আগে প্রতিদিন গড়ে দেড়-দুই হাজার পর্যটক পেতাম। এখন তা নেমে এসেছে তিন-চার শতে। এর বেশির ভাগই স্থানীয় মানুষ।'
স্থানীয় পিকআপচালক সুমন চাকমা বলেন, 'গত এক সপ্তাহে গাড়ি ভাড়া হয়নি বললেই চলে। আগে প্রতি সপ্তাহে দুই-তিন দিন গাড়ি চালাতাম। এখন সপ্তাহে এক দিন ভাড়াও জোটে না। পরিবার চালানোই কষ্টকর হয়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকার পরিবর্তনের পর নানা হামলা-মামলা ও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্বে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ফলে পর্যটকেরা আসছেন না।'
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, 'দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পর্যটন কিছুটা থমকে গেছে। তবে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। '
পুলিশ সুপার মো. জুয়েল আরেফিন বলেন, 'গ্রীষ্ম ও বর্ষার সময় এমনিতেই কিছুটা পর্যটক কম আসে। তার ওপর চলমান পরিস্থিতির প্রভাব আছে। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।'
খাগড়াছড়ি শহরের গাইরিং হোটেলের স্বত্বাধিকারী এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, 'গত বছর এ সময় প্রচুর পর্যটক এসেছিল। এবার পর্যটক নেই বললেই চলে। সরকার পরিবর্তন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাত, সাজেকে অগ্নিকাণ্ড, অপহরণ, গাড়ি আটকের মতো নানা ঘটনায় পর্যটনখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পর্যটকেরা না আসায় হোটেল ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সরকার যদি মনোযোগ দেয়, তাহলে এই খাতের সবাই লাভবান হবে।'
খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আসলাম কালু জানান, 'পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় গাড়ি কমিয়ে আনতে হয়েছে। অনেক চালক ও শ্রমিককে কাজ ছাড়া বসে থাকতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খাতেও নেমে এসেছে মন্দা।'
সিস্টেম হোটেলের মালিক মং মারমা বলেন, 'আগে প্রতিদিন গড়ে দেড়-দুই হাজার পর্যটক পেতাম। এখন তা নেমে এসেছে তিন-চার শতে। এর বেশির ভাগই স্থানীয় মানুষ।'
স্থানীয় পিকআপচালক সুমন চাকমা বলেন, 'গত এক সপ্তাহে গাড়ি ভাড়া হয়নি বললেই চলে। আগে প্রতি সপ্তাহে দুই-তিন দিন গাড়ি চালাতাম। এখন সপ্তাহে এক দিন ভাড়াও জোটে না। পরিবার চালানোই কষ্টকর হয়ে গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকার পরিবর্তনের পর নানা হামলা-মামলা ও পাহাড়ি সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্বে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ফলে পর্যটকেরা আসছেন না।'
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, 'দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পর্যটন কিছুটা থমকে গেছে। তবে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। '
পুলিশ সুপার মো. জুয়েল আরেফিন বলেন, 'গ্রীষ্ম ও বর্ষার সময় এমনিতেই কিছুটা পর্যটক কম আসে। তার ওপর চলমান পরিস্থিতির প্রভাব আছে। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।'