![]() |
জয়পুরহাটে তেলবাহী একটি ট্রেনের একটি ট্যাংকারের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। গতকাল বুধবার রাতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের একটি ট্যাংকারের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ায় পার্বতীপুর-সান্তাহার রুটে ট্রেন চলাচল সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এ ঘটনায় ঢাকা, খুলনা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চিলাহাটীগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে রংপুর ডিপোর উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি তেলবাহী ট্রেন গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকায় পৌঁছালে এর একটি ট্যাংকারের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে পার্বতীপুর-সান্তাহার রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ডাউনলাইনে চিলাহাটী থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস এবং আপলাইনে ঢাকা থেকে চিলাহাটীগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ও চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে।
বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পার্বতীপুর থেকে উদ্ধারকারী (রিলিফ) ট্রেন এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত তিনটার দিকে ট্রেনের একটি ট্যাংকারের তিনটি চাকা লাইনে তোলা হয় এবং ট্রেনটি জয়পুরহাট রেলস্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে রেললাইন মেরামত শেষে আজ ভোর সাড়ে চারটায় রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। আটকে পড়া ট্রেনগুলো পরে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ঘণ্টা পাঁচবিবি রেলস্টেশনে আটকে ছিল। আমরা ভোগান্তিতে পড়েছিলাম।’
জয়পুরহাট স্টেশনের মাস্টার নাহিদা আকতার বলেন, পুরানাপৈল এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। এ জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।