[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যায় দুই জনের ফাঁসি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রতিনিধি বগুড়া

মৃত্যুদণ্ড | প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর আলী হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেকজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক মো. আবু হানিফ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আবদুল হান্নান ও দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান। তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবী মুন্না। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুল বাছেদ বলেন, আদালতের এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মহিদুল ইসলামের ছেলে আজগর আলী ২০২০ সালের ২১ মার্চ অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ২৮ মার্চ বিকেলে শহরতলির বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার কবরস্থান থেকে তাঁর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন আজগরের বাবা বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত চলাকালে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে আবদুল হান্নান ও রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তাঁরা জানান, নেশার টাকার জন্য অটোরিকশা ছিনতাই করতে আজগরকে বড় কুমিড়ার একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা নেশাজাতীয় ট্যাবলেট সেবন করেন। এরপর ইট দিয়ে আজগরের মাথায় আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন। পরে তাঁর লাশ পাশের একটি কবরস্থানে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান। পরে অটোরিকশাটি বিক্রির জন্য ঘোড়াঘাটে নিয়ে গিয়ে নুরুন্নবী মুন্নার কাছে রেখে আসেন। আজগরের মুঠোফোনের সূত্র ধরে প্রথমে হান্নান ও রাশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে নুরুন্নবীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন