প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্বপন মিয়ার হোটেলে বানানো দুটি শিঙাড়ার একটি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গরম মচমচে শিঙাড়ার স্বাদই আলাদা। সেই শিঙাড়ার ওজন যদি হয় চার কেজি, তাহলে এটি নিয়ে কৌতূহল থাকে একটু বেশি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বানানো চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকায়।
গতকাল রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আহুতিয়া পুরাতন বাজারে স্বপন মিয়ার হোটেলে শিঙাড়া দুটি বানানো হয়। পাঁচ বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতে বানানো হয়েছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়াগুলো। এত বড় বড় শিঙাড়া দেখতে দোকানে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
দোকানের মালিক ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন, অন্তর মিয়া, মিজানুর রহমান, টুটুল মিয়া ও দিদার আহমেদ—পাঁচ বন্ধু। তাঁরা বড় আকারের শিঙাড়া বানানোর পরিকল্পনা করেন। পরে তাঁরা মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক স্বপন মিয়ার কাছে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান। তাঁরা সবাই ওই হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। পরে তাঁদের অনুরোধে বানানো হয় চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া।
ঝাল ঝাল নরম আলুর পুর দিয়ে বানানো শিঙাড়া ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজা হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গতকাল দিনব্যাপী চলে শিঙাড়া বানানোর আয়োজন। উপাদান হিসেবে প্রস্তুত করা হয় চার কেজি মুরগির মাংস, পরিমাণমতো আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও বিভিন্ন ধরনের মসলা। এরপর আলুর পুর ভরা তিনকোণা ময়দার কোটিং ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজা হয়। ভেতরটা ঝাল ঝাল নরম আলুর পুরে তৈরি হয় চার কেজি ওজনের শিঙাড়া। বিকেলে মূল আয়োজন ও তেলে শিঙাড়া ছাড়ার সময় হোটেলটিতে ভিড় করে আশপাশের উৎসুক জনতা। একেকটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়েছে এক হাজার টাকার ওপর। দুটি শিঙাড়ায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পাঁচ বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতে বানানো হয়েছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়াগুলো | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাঁচ বন্ধুর একজন মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বন্ধুরা মিলে একটু ব্যতিক্রম চিন্তাভাবনা থেকেই শিঙাড়া বানানোর আয়োজন করি। আর এতে অনেক উপাদান দেওয়া হয়েছিল, তাই এটি খেয়েও অনেক স্বাদ পেয়েছি। বিষয়টি খুব মজার হয়েছে। বন্ধুরাসহ সবাই আমরা বিষয়টি উপভোগ করছি।’
উৎসুক জনতার একজন মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘এত বড় শিঙাড়া আগে কখনো দেখিনি। তাই কীভাবে বানাচ্ছে, তা দেখতে গিয়েছিলাম। দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি।’
দোকানদার স্বপন মিয়া বলেন, পাঁচ বন্ধু তাঁর নিয়মিত ক্রেতা। তাঁদের আবদার রাখতেই এই আয়োজন করেছিলেন। কিছুটা ঝামেলা হয়েছে, সময়ও বেশি লেগেছে। তবে তাঁদের বন্ধুদের আনন্দ ও মজা দেখে তাঁর ভালো লেগেছে। চাহিদা থাকলে ভবিষ্যতে এমন শিঙাড়া বানাবেন বলে জানান তিনি।