বগুড়ায় বিস্ফোরণে দগ্ধ স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

বগুড়ায় বিস্ফোরণে দগ্ধ মালতিনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির তানজিম বুশরা ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা গেছে | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় পটকা তৈরির অবৈধ কারখানায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্কুলছাত্রী তানজিম বুশরা (১৪) মারা গেছে। গত শনিবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

তানজিম বুশরা বগুড়া শহরের মালতিনগর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মালতিনগর মোল্লাপাড়ার  আলী হোসেনের মেয়ে।

গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে বগুড়া শহরের মালতিনগর ভাটকান্দি এলাকার পটকা তৈরির কারখানায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে তিন কিশোরী দগ্ধ হয়। এর মধ্যে তানজিম বুশরাকে ওই রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় এবং সুমাইয়া (১৫) ও জিম (১৩) নামে অপর দুই কিশোরীকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, মালতিনগরে পটকা কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ সুমাইয়া শনিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে শাহবাগ থানা–পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ওসি আরও বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় বনানী ফাঁড়ি পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে গত সোমবার একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় পটকা কারখানার মালিক রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদুজ্জমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে গেছে। ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠানোর কথা। বিকট শব্দে এই বিস্ফোরণ বোমার কি না, তা বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।